বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার ফের একবার খবরের শিরোনামে উঠে এলেন বর্ষীয়ান মার্কিন মহাকাশচারী বাজ অলড্রিন (Buzz Aldrin)। এমনিতেই চাঁদে পা রাখার বিরল কৃতিত্বের অধিকারী তিনি। তবে, এবার ৯৩ বছর বয়সে চতুর্থবার বিয়ে করে আরেক নজর গড়লেন অলড্রিন। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার ৯৩ বছর বয়সে চতুর্থবার বিয়ে করেন তিনি। এমতাবস্থায়, তাঁর স্ত্রী ডাঃ আঙ্কার বয়স হল ৬৩ বছর। অর্থাৎ, অলড্রিনের তুলনায় তিনি ৩০ বছরের ছোট।
এদিকে, এই বিবাহের খবর অলড্রিন নিজেই টুইট মারফত সামনে এনেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “আমরা দু’জনেই সেই যুবক-যুবতীদের মতো উত্তেজিত যারা বাড়ি থেকে পালিয়ে বিয়ে করে।” এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, নীল আর্মস্ট্রং এবং বাজ অলড্রিন ১৯৬৯ সালে অ্যাপোলো ১১ মিশনের অংশ হিসেবে চাঁদে গিয়েছিলেন। নীল আর্মস্ট্রং প্রথম চাঁদে অবতরণ করেছিলেন। বাজ অলড্রিন তাঁর ১৯ মিনিট পরে চাঁদে পা রাখেন।
পাশাপাশি, ৯৩ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে বিয়ের পর টুইটারে স্ত্রী আঙ্কার সঙ্গে একটি ছবি শেয়ার করেছেন বাজ অলড্রিন। সেখানে তিনি লিখেছেন, “আমার ৯৩ তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে আমি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে, আমি আমার প্রেমিকা ডাঃ আঙ্কা ফরকে বিয়ে করেছি। লস অ্যাঞ্জেলেসে ছোট্ট একটি অনুষ্ঠানে আমাদের বিয়ে হয়।”
টুইটার ব্যবহারকারীরা অভিনন্দন জানিয়েছেন: এমতাবস্থায়, এই খবর সামনে আসতেই বাজ অলড্রিনের পোস্টে এখনও পর্যন্ত ১ লক্ষ ৬০ হাজারেরও বেশি নেটিজেন লাইক করেছেন। পাশাপাশি, টুইটার ব্যবহারকারীরা তাঁকে অভিনন্দনও জানিয়েছেন। একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আপনি নিশ্চয়ই চাঁদে অবতরণের মতো অনুভব করছেন”। অন্য একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, “শুভ জন্মদিন বাজ, আপনার বিবাহের জন্য শুভ কামনা।”
On my 93rd birthday & the day I will also be honored by Living Legends of Aviation I am pleased to announce that my longtime love Dr. Anca Faur & I have tied the knot.We were joined in holy matrimony in a small private ceremony in Los Angeles & are as excited as eloping teenagers pic.twitter.com/VwMP4W30Tn
— Dr. Buzz Aldrin (@TheRealBuzz) January 21, 2023
অ্যাপোলো মিশনের একমাত্র জীবিত সদস্য: উল্লেখ্য যে, বাজ অলড্রিন হলেন তিন সদস্যের অ্যাপোলো ১১ মিশনের একমাত্র জীবিত সদস্য। ইতিমধ্যেই ওই মিশনে তাঁর সাথে থাকা অন্য দুই সদস্য প্রয়াত হয়েছেন। বাজ অলড্রিন ১৯৭১ সালে নাসা থেকে অবসর নেন। তিনি ১৯৯৮ সালে শেয়ার স্পেস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। যার উদ্দেশ্য ছিল মহাকাশ গবেষণার প্রচার করা।