বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবারো এক অভূতপূর্ব যোজনা এনেছে মোদি সরকার (modi government) । এই যোজনায় দিনে ৭ টাকা করে জমালেই মিলবে ৫০০০ টাকা প্রতিমাসে রিটার্ন। শ্রমিকদের জন্যই এই যোজনা এনেছে মোদি সরকার।
অটল পেনশন যোজনার আওতায় এই যোজনাটিতে দিনে জমা করতে হবে মাত্র ৭ টাকা। ৬০ বছর বয়সের পর প্রতিমাসে মিলবে ৫০০০ টাকা করে। যদি পেনশন গ্রাহক মারা যান, তবে সেই টাকা পাবেন তার স্ত্রী। আর যদি দুজনেই মারা যান সে ক্ষেত্রে নমিনি পাবেন পুরো টাকাটাই।
গ্রাহকেরা ১৮ বছর বয়সেই এই যোজনার আওতায় আসতে পারেন সেক্ষেত্রে প্রতিটা জমাতে হবে ৭ টাকা। ১৮ এর বেশী বয়সীদের ক্ষেত্রে এই যোজনায় প্রতিদিনের দেয় টাকার পরিমান বয়স অনুযায়ী বাড়বে৷ যে কোনো পোস্ট অফিস বা ব্যাংকে সেভিংস একাউন্ট থাকলেই মিলবে এই সুবিধা। এক জন মানুষের ১ এর বেশি একাউন্ট থাকবে না৷ ভবিষ্যতে এই পেনশন যোজনায় মাসিক প্রদেয় টাকা দ্বিগুন করবার পরিকল্পনা করছে মোদি সরকার।
পাশাপাশি, করোনা পরিস্থিতিতে দেশের ২০ লাখের বেশী কৃষকদের জন্য একটি স্কিম এনেছে মোদি সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে জানা গিয়েছে যে, দেশের মোট 20 লক্ষ 41 হাজার কৃষকদের বার্ষিক 36,000 টাকা পেনশন দিবে মোদি সরকার। ইতিমধ্যেই বহু লোক এই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে।
জানা গিয়েছে, নিবন্ধিত মহিলার সংখ্যা ৬ লাখ ৩৬ হাজারের বেশী। শুধুমাত্র হরিয়ানাতেই ৪ লাখের বেশি কৃষক ইতিমধ্যেই রেজিস্ট্রেশন করিয়ে নিয়েছেন। ঝাড়খন্ডে সংখ্যাটি ৩ লাখের অধিক৷ নিবন্ধিত কৃষকদের বেশিরভাগের বয়সই ২৫ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে।
বিশদে জেনে নিন স্কিমটি
• 18 থেকে 40 বছর বয়সের মধ্যে কৃষক যাদের 5 একর অর্থাৎ 2 হেক্টর জমি আছে তারা আবেদন করতে পারবে
• ২০ বছর বয়সীদের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ৫৫, ৪০ বছর বয়সী দের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
• কৃষকের আধার কার্ড, জমির কাগজের ফটোকপি, দু’কপি ফটো এবং ব্যাংকের পাসবুক লাগবে রেজিষ্ট্রেশন করতে।
• রেজিষ্ট্রেশন হয়ে গেলে দেওয়া হবে পেনশন ইউনিক নাম্বার এবং পেনশন কার্ড
• ৬০ বছরের পর মাসিক ৩ হাজার টাকা পাওয়া যাবে। কৃষকের মৃত্যু হলে তার স্ত্রী পাবেন ৫০%। স্কিম ছেড়ে বেরিয়ে আসতে চাইলে মিলবে সুদ সহ গোটা টাকাই।