চার গোল হজম! গোকুলাম কেরালার সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ এটিকে মোহনবাগানের

বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বার বার তিনবার, ফের একবার ফুটবলের মঞ্চে বাংলা বনাম কেরলের লড়াই, আর সেই লড়াইয়ে ফের একবার বাজি মারলো কেরলের দল। আইএসএলের তারকা খচিত এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে এএফসি কাপে জয় পেল গোকুলাম কেরালা এফসি। আইলিগ, সন্তোষ ট্রফির পর এএফসিতে কেরলের ফুটবলের জয় হলো। এর আগে ভারতের প্রথম দল হিসেবে টানা দুই বার আই লিগ জেতার পর শনিবার রাতে গোকুলামের হোটেলে হয়েছে সংক্ষিপ্ত সেলিব্রেশন হয়েছিল, কারণ কোচ চাননি এই ম্যাচের ওপর থেকে ফোকাস হারাক তার দল, তার ফলও হাতেনাতে পেল গোকুলাম কেরালা। আইএসএল এবং আইলিগ নিয়ে যে মানের তুলনা করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা, সেই নিয়েও এবার প্রশ্ন ওঠে গেল।

গত রবিবার ফুটবলারদের বিশ্ৰাম দিয়েছিলেন গোকুলাম এফসি’র ইতালিয়ান কোচ ভিনসেঞ্জো আলবার্তো। সোমবার প্র্যাকটিসে মূলত কাউন্টার অ্যাটাকের ওপর জোর দিয়েছিলেন গোকুলাম কোচ। সেই অস্ত্রেই ঘায়েল হলো জুয়ান ফার্নান্দোর দল। সন্দেশ ঝিঙ্গান চোটের কারণে এই ম্যাচে খেলতে পারেননি। গোদের ওপর বিষফোঁড়া স্বরূপ প্রথমার্ধেই চোট পেয়ে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন তিরি। ফলে আরও সহজ হয়ে যায় গোকুলমের কাজটা।

চোটের জন্য আজ খেলতে পারেননি এটিকে মোহনবাগানের ক্রিয়েটিভ মিডফিল্ডার হুগো বুমোও। যদিও তা সত্ত্বেও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল এটিকে মোহনবাগান। রয় কৃষ্ণার সাথে আজ ডেভিড উইলিয়ামসকে জুড়ে দিয়েছিলেন কোচ। ম্যাচের দ্বিতীয় কোয়ার্টারের শুরুর দিকে রয় কৃষ্ণার শট পোস্টে লেগে ফেরে। ২৯ মিনিটে ফিনিশ তারকা জনি কাউকো গোলরক্ষককে বাগে পেয়েও পরাস্ত করতে ব্যর্থ হন।

প্রথমার্ধে সবুজ মেরুণ শিবিরকে মেপে নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে চাপ বাড়ায় গোকুলাম, যা সামলাতে ব্যর্থ হয় তাদের দ্বিতীয় সারির ডিফেন্স। ৫০ মিনিটে জামানের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে গোকুলামকে এগিয়ে দেন লুকা মানজেন। ৫৩ মিনিটে কর্ণার থেকে হেড করে সমতা ফেরান প্রীতম কোটাল। কিন্তু এটিকে মোহনবাগানের দুর্বল রক্ষণের সুযোগ নিয়ে ৫৭ ও ৬৫ মিনিটে আরও দুটি গোল করে গোকুলাম, গোলদাতা রিশাদ এবং সেই মানজেন। ৮০ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে দুরন্ত গোল করে ব্যবধান কমিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো, কিন্তু ম্যাচের শেষদিকে এটিকে মোহনবাগানের অতিরিক্ত আক্রমণাত্মক হওয়ার সুযোগ নিয়ে সবুজ মেরুণ শিবিরের কবলে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেন জিতিন।


Reetabrata Deb

সম্পর্কিত খবর