বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: নিজেদের পক্ষে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত পেয়েও ম্যাচ জিততে ব্যর্থ হল এটিকে মোহনবাগান। আজ আইএসএলে নিজেদের ১৭ নম্বর ম্যাচ খেলতে জামশেদপুর এফসির মুখোমুখি হয়েছিল জুয়ান ফেরান্দোর দল। এই মরশুমে জামশেদপুরের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এই ম্যাচের পর ১৮ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিল এর দশ নম্বর রয়েছে তারা। তাদের বিরুদ্ধেও জিততে না পারায় বেশ কিছুটা চাপে পড়ে গেল সবুজ মেরুন শিবির।
এটিকে মোহনবাগানের পরের দুটি ম্যাচ হল শক্তিশালী হায়দরাবাদ এবং লিগ টেবিলের তিন নম্বরে থাকা কেরালা ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। এরপর কলকাতা ডার্বি দিয়ে গ্রুপ পর্ব অভিযান শেষ করবে সবুজ মেরুণ শিবির। এই মুহূর্তে ওড়িশা, বেঙ্গালুরু এবং এফসি গোয়া টপ সিক্সে থাকার জন্য লড়াই চালাচ্ছে। কাজেই এটিকে মোহনবাগানের টপ সিক্স নিশ্চিত করতে গেলে অন্তত দুটি ম্যাচে জিততেই হবে।
আজ দুই দলই একাধিক সুযোগ নষ্ট করেছে। ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তনীর ড্যানিয়েল চিমা চুকু অত্যন্ত সহজ সুযোগ পেয়েও নষ্ট না করলে এটিকে মোহনবাগানকে এক পয়েন্ট না নিয়েও ফিরতে হতে পারতো। আজকের ম্যাচে মোট দুটি বড় সুযোগ নষ্ট করেছিল জামশেদপুর। গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে এটিকে মোহনবাগানও।
আজকের ম্যাচের চূড়ান্ত ফ্লপ ফ্রেডরিকো গ্যালাগো, মনবীর সিং। লিস্টন কোলাসো যেন আগের দুই মরশুমের ছায়া মাত্র। সুযোগ পেয়েও কিয়ার নাসিরি এবং ফারদিন আলি মোল্লা নিজেদের প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলেন। সবুজ মেরুন শিবিরের খেলায় সঠিক পরিকল্পনার অভাব দেখা গিয়েছে।
আজকের ম্যাচে একটি ন্যায্য পেনাল্টি থেকেও বঞ্চিত হয়েছে জামশেদপুর। এর আগে দুই দলের মরশুমের প্রথম সাক্ষাতেও এমন ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেইসঙ্গে এটিকে মোহনবাগান গোলরক্ষক বিশাল কায়েথের প্রশংসা করতেই হবে। তিনি না থাকলে এই ম্যাচ থেকে এক পয়েন্ট নিয়েও ফিরতে পারত না এটিকে মোহনবাগান শিবির। দূরপাল্লার কিছু শট বাঁচান জামশেদপুর গোলরক্ষক রেহনেশ টিপি-ও।