বাংলা হান্ট ডেস্ক : আর্থিক সংকটে ধুুঁকছে পাকিস্তান (Pakistan)। চূড়ান্ত খাদ্য সংকট। এই পরিস্থিতিতে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন নাগরিকরা। এই পালিয়ে যাওয়াই কাল হল একদল পাকিস্তানির। ইউরোপে (Europe) পালানোর সময় সমুদ্রে তলিয়ে মৃত্যু হল ২৮ জনের। রবিবার রাতে ভূমধ্যসাগরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে একটি শরনার্থী ভরতি বোট। সেই দুর্ঘটনায় ২৮ পাকিস্তানির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও। পাকিস্তানের সরকারি সূত্রে ২৪ নাগরিকের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে।
গতকাল রবিবার রাতেই ঘটে ওই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। পাথরে ধাক্কা খেয়ে ইটালির দক্ষিণ উপকূল অঞ্চলে ডুবে যায় শরনার্থী বোঝাই ওই বোট। দুর্ঘটনার পর ৮১ জনকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু সমুদ্রে তলিয়ে গিয়ে মোট ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে মোর ২৮ জন পাকিস্তানের নাগরিক। রোমের পাকিস্তানি দূতাবাস জানিয়েছে, ‘ওই নৌকায় অন্তত ৪০ পাকিস্তানি ছিল।’ তাদের মধ্যে ২৮ জন সমুদ্রে তলিয়ে গিয়েছে। বাকি ১২ জনের খোঁজ মিলছে না।
সোমবার এই ঘটনার কথা স্বীকার করে নিয়ে পাক পাকি প্রধানমন্ত্রীর দফতর। শেহবাজ শরিফ জানান, ‘ইটালিতে নৌকাডুবিতে ২৪ পাকিস্তানির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আমি দূতাবাসকে নির্দেশ দিয়েছি, দ্রুত এবিষয় খবর নিতে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নিক প্রশাসন।’
ইউরোপে যাওয়ার জন্য তুরস্কের এই পথ সবচেয়ে জনপ্রিয় ছিল। সাধারণত মাইলের পর মাইল পেরিয়ে হেঁটে ইউরোপে ঢোকে অনুপ্রবেশকারীরা। নাহলে ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে ইটালি হয়ে ইউরোপে পাড়ি দেয় এই অনুপ্রবেশকারীরা। আর তাদের সমুদ্রযাত্রার মাঝেই একের পর এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটতে থাকে।
ইতালির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ানদোসি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, নৌকাডুবির ঘটনায় এখনো অন্তত ৩০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ। উদ্ধার অভিযান চলছে। কুতরো শহরের মেয়র অ্যান্তোনিও সিরাসো স্থানীয় একটি সংবাদমাধ্যমকে জানান, সমুদ্রে ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে কাঠের তৈরি নৌকাটি ডুবে যায়। নৌকার বিচ্ছিন্ন অংশ উপকূল থেকে ৩০০ মিটারের মধ্যে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে।