বাংলা হান্ট ডেস্ক : রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি পাকিস্তানে (Pakistan)। কখনও লাহোর। কখনও করাচি(Karachi) বা ইসলামাবাদ (Islamabad)। ভারতের প্রতিবেশি রাষ্ট্রের মাটিতে চলছে একের পর এক ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ (Surgical Strike)। এক এক করে নিকেশ করা হচ্ছে ভারত বিরোধী জঙ্গি সংগঠনগুলির শীর্ষ নেতাদের। গত শনিবার লাহোরের (Lahore) রাস্তায় গুলিতে খুন হয় পরমজিৎ সিং পাঞ্জওয়ার। ঘটনার দিন প্রাতর্ভ্রমণে বেরিয়েছিল এই খালিস্তানি নেতা।
তবে শুধু পরমজিৎ সিংই নয়, গত এক বছরে পাকিস্তানের মাটিতে খুন হয়েছে মোট চারজন জঙ্গি নেতা। নিহতের তালিকায় রয়েছে জইশ-ই-মহম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের শীর্ষ কমান্ডারের নাম। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে পরমজিৎ সিং-র নাম জঙ্গি নেতাদের তালিকাভুক্ত করে কেন্দ্র সরকার। ১৯৯০ থেকে পাকিস্তানে থাকছিল এই খালিস্তানি নেতা। জঙ্গি নেতাদের তালিকায় নাম ওঠার তিন বছরের মধ্যেই লাহোরের ব্যস্ত রাস্তায় খুন হল পরমজিৎ।
গত শতাব্দীর আটের দশকে প্রথমবার খবরের শিরোনামে আসে এই খালিস্তানি নেতা। ওই বছর লুধিয়ানায় একটি ব্যাঙ্ক ডাকাতিতে নাম জড়ায় পরমজিতের। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, এর পরই পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইattack-র সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ গড়ে ওঠে তার।
৯-র দশকে ভারত থেকে চম্পট দেওয়ার পর লাহোরে আশ্রয় নেয় পরমজিৎ। সেখানেই কমান্ডো ফোর্স নামে একটি উগ্রপন্থী সংগঠন গড়ে তোলে সে। ১৯৯৯-র চণ্ডীগড় জঙ্গি হামলার মাস্টার মাইন্ড ছিল এই খালিস্তানি নেতা। পাকিস্তানে অবশ্য নিজের পরিচয় গোপন করেছিল পরমজিৎ সিং। লাহোরে মালিক সর্দার সিং বলেই সকলে চিনত তাকে। আইএসআই-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে ভারতে ড্রাগ ও হাতিয়ার পাচার করত সে। এমনকি পাকিস্তানে বসে ব্রিটেন, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ার খালিস্তানি আন্দোলনের নেতৃত্ব দিত পরমজিৎ সিং।
গত বছরের মার্চে জইশ-ই-মহম্মদের শীর্ষ কমান্ডার জহুর মিস্ত্রিকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দেয় আততায়ীরা। দীর্ঘদিন পর গোপন আস্তানা থেকে বেরিয়েছিল জহুর। করাচির রাস্তার পা পড়তেই তাকে খুন করা হয়।