সোনামুখীর বিধায়কের ওপর হামলা, ‘মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গলরাজে বিধায়করাও সুরক্ষিত নন’, বললেন শুভেন্দু- সৌমিত্ররা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবারও তৃণমূল (tmc) দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ উঠল বাংলার (west bengal) বুকে। বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (suvendu adhikari) অভিযোগ করেছেন, রবিবার তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী (dibakar gharami)। শুধুমাত্র বিজেপি বিধায়কই নন, তাঁর সঙ্গে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৮ জন বিজেপি কর্মী। ‘একজন বিধায়কও এখন সুরক্ষিত নয়’ বলে শাসকদলকে আক্রমণ করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা।

ঘটনাটি ঘটে রবিবার মানিকবাজার পঞ্চায়েত এলাকায়। অভিযোগ উঠেছে, সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামীসহ আরও ৭ জন বিজেপি কর্মীর উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার বেশকিছু ছবি এবং ভিডিও নিজের স্যোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে নিজেই শেয়ার করেন নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী।

পাশাপাশি স্যোশাল মিডিয়ায় তিনি লেখেন, ‘সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী আজ মানিকবাজার পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন। বিজেপির ৭ জন কর্মী এই হামলায় গুরুতর ভাবে আহত হয়ে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজে ভর্তি। বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গলরাজ চলছে, পরিবেশ এতোটাই ভয়াবহ যে একজন বিধায়ক ও এখন সুরক্ষিত নন’।

বিজেপি দাবি, বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর থেকে গোটা রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাস চালাচ্ছে তৃণমূল শিবির। শাসকদলের অত্যাচারের ভয়ে এখনও ঘরছাড়া গেরুয়া শিবিরের হাজার হাজার কর্মী সমর্থক। তাঁদের কেউ কেউ বাড়ি ফিরে এলেও, তাঁদের বিভিন্ন শর্তে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

https://www.facebook.com/1328538307199555/posts/4085024734884218/?sfnsn=wiwspwa

এই ঘটনার ছবি পোস্ট করে শাসকদলকে আক্রমণ করেছেন সৌমিত্র খাঁও। তিনি লিখেছেন, ‘আজ আমার লোকসভার অন্তর্গত সোনামুখীর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামী আজ মানিকবাজার পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন। বিজেপির ৮ জন কর্মী বাউল খাওয়াস, দ্বিগবিজয় তুঙ্গ, উত্তম গরাই, বুধন খাওয়াস, কার্তিকব বীর, হরিপদ গোরাই, মাধব খাওয়াস, কৃষ্ণ বিদ এই হামলায় গুরুতর ভাবে আহত হয়ে বাঁকুড়া মেডিকেল কলেজে ভর্তি। বিধানসভা নির্বাচনে পরাজিত মুখ্যমন্ত্রীর জঙ্গলরাজ চলছে, পরিবেশ এতোটাই ভয়াবহ যে একজন বিধায়ক ও এখন সুরক্ষিত নন’।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর