দর্শকদেরই জয়, বয়কটের হুমকি পেতেই ঘুরে গেল মোড়! জি বাংলার এই মেগায় আসছে বড় টুইস্ট

বাংলা বাংলা হান্ট : বড়োলোক হিরো, গরিব হিরোইনের গল্প নয়, বরং একেবারে সাধাসিধে পোশাক পরিহিত আর পাঁচটা বাড়ির গল্পই দেখানো হয়েছে জি বাংলার (Zee Bangla) ‘কার কাছে কই মনের কথা’ (Kar Kache Koi Moner Kotha) ধারাবাহিকে। একটা সাধারণ গ্র্যাজুয়েট মেয়ে একটা অর্থোডক্স ফ্যামিলিতে গিয়ে কী পরিমাণ সমস্যার সম্মুখীন হয় সেটাই দেখানো হয়েছে এই সিরিয়ালে।

জি বাংলার এই মেগায় শিমুলের শাশুড়ি তো বটেই পাশাপাশি স্বামী দেওর প্রত্যেকেই এমন চিন্তাধারার মানুষ যে শিমুলের পক্ষে ঠিকভাবে শ্বাস নেওয়াটাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাদের কাছে মেয়ে মানে সে কেবল বাড়িতেই বসে থাকবে। তার নিজস্ব কোনও শখ আহ্লাদ থাকবেনা। গোটা বাড়িতে একমাত্র ননদ পুতুলই তাকে ভালোবাসে। তবে সে নিজেই অসুস্থ হওয়ায় তার কথার মূল্য কেউ দেয়না।

যদিও প্রথম দিকটা দর্শকরা এই ধারাবাহিকের গল্পকে সেইভাবে আপন করে নিতে পারেনি। মা হয়ে ছেলের ফুলশয্যার ঘরে ঢোকা থেকে শুরু করে শিমুলের গায়ে হাত তোলা সবেতেই প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল দর্শকদের একাংশ। যতই সমাজের বাস্তব চিত্র হোক না কেন, অনেকেই মনে করেছিলেন এই ধারাবাহিকের মাধ্যমে সমাজের উদ্দেশ্যে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন :

তবে এবার খানিকটা বদল দেখা যাচ্ছে জি বাংলার এই সিরিয়ালে। দর্শকদের প্রবল আপত্তির কারণেই হয়ত শিমুলের কঠোর শাশুড়ি আসতে আসতে নরম হচ্ছে। বিগত কয়েকটি পর্বে আমরা দেখেছি শিমুলের শাশুড়ি তার মনের সমস্ত বেদনার কথা উজাড় করে দিয়েছে নিজের বৌমার কাছে। তিনি বারবার স্বীকার করেছেন শিমুল খুব ভালো মেয়ে কিন্তু তিনি পরিবারের চাপে তার স্বীকার করতে পারেন না।

এসবের মাঝেই ধারাবাহিকে আসছে বিশ্বকর্মা পূজার ট্র্যাক। যেখানে দর্শক দেখতে পাবে, বিশ্বকর্মা পূজা উপলক্ষে সকলে মিলে ছাদে ঘুড়ি ওড়াচ্ছে আর ঠিক তখনই সেখানে এসে হাজির হয় শিমুলের শাশুড়ি। শিমুল ভালোই জানে যে তার শাশুড়ি ঠিক কত বড় ঘুড়িবাজ। তবে সংসারের চাপে আর সেসব হয়ে ওঠেনি। শাশুড়ির হাবভাব দেখে শিমুলও সাহস করে সেকথা বলে উঠতে পারেনি কখনও।

 

তবে মনের ইচ্ছে কী আর চেপে রাখা যায়? সবাইকে ঘুড়ি ওড়াতে দেখে তিনি নিজেই বলে ওঠেন ঘুড়ি ওড়ানোর কথা। সবাই মিলে ঘুড়ি ওড়াতে ওড়াতে শাশুড়ি মা যখন একটা ঘুড়ি কেটে দেন তখন শিমুল আনন্দে তাকে জড়িয়ে ধরে বলে, “তুমি এতো ভালো ঘুড়ি ওড়াতে পার, আমি তো জানতামই না”। এই কথা শুনে শিমুলের শাশুড়ি বলেন, “এরপর থেকে কিন্তু তুমি করেই বলতে হবে”। গল্পের এই মোড় দেখে দর্শকরা যে বেজায় খুশি সেকথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।


Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর