বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিধ্বংসী আগুনে জ্বলছে অস্ট্রেলিয়ার বিস্তীর্ণ অংশ। দাবানলের কবলে গোটা দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়া। অ্যাডিলেডের তাপমাত্রা গিয়ে পৌঁছেছে ৪০ ডিগ্রিতে। মানুষ সহ সব বন্যপ্রানীরাই আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। এই ভয়াবহ অবস্থার মধ্যেই অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিল অন্তত ১০,০০০ উটকে মেরে ফেলার।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী এলাকায় বন্য উট এসে বাসিন্দাদের পানীয় জল খেয়ে নিচ্ছে। ভেঙে দিচ্ছে ঘরবাড়ি। তাদের তাণ্ডবে নষ্ট হচ্ছে মাঠের ফসল। তাই বাধ্য হয়েই এমন নিদান। যেখানে মারাত্মক দাবানলে মানুষের পানীয় জল পাওয়া যাচ্ছে না সেখানে এই উটেরা বেশি বেশি করে জল খেয়ে শেষ করে দিচ্ছে। তাই সেখানকার স্থানীয় প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, নিকেশ করা হবে এই উটদের।
জানা গিয়েছে, বুধবার থেকে শুরু হবে উট নিধন যজ্ঞ। এই কাজের জন্য সরকারের তরফে হেলিকপ্টার পাঠানো হবে বলেও জানা গিয়েছে। উটদের মারতে ভাড়া করা হচ্ছে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত শিকারিদের। এগজিকিউটিভ বোর্ডের একজন সদস্য জানিয়েছেন, উটের দৌরাত্ম্যে অনেকের সমস্যা হচ্ছে। বাইরে দাবানলের গরমে থাকা যাচ্ছে না। ভিতরে সারাক্ষণ এসি চালিয়ে থাকছে মানুষ। উটেরা বেড়া ভেঙে ভিতরে ঢুকে পড়ে সেই এসির জলও খেয়ে নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এই সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে আসেতই সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। পশুপ্রেমীরা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন এই সিদ্ধান্তের। তাঁদের মত এমনিতেও সর্বগ্রাসী দাবনলে ইতমধ্যেই প্রায় ৪৭০ মিলিয়নেরও বেশি বন্যপ্রাণীর মৃত্যু হয়েছে। এবার এতগুলো উট মেরে ফেললে অস্ট্রেলিয়ারই ক্ষতি হবে। উল্লেখ্য, গত বছরের নভেম্বর মাস থেকে জ্বলছে অস্ট্রেলিয়ার জঙ্গল। ওদেশের সরকার প্রতিনিয়ত সেই আগুন নেভানোরই কাজ করছে। পাশাপাশি অন্যান্য দেশও সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে।