বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মরুদেশের মহা যুদ্ধের রবিবার ছিল একদম শেষ পর্ব। অ্যারন ফিঞ্চ আর উইলিয়ামসনের ট্রফি জয়ের এই লড়াইয়ে টস আজ গিয়েছিল ফিঞ্চের পক্ষেই। প্রায় এই বিশ্বকাপের রীতি অনুযায়ী টসে জিতে নিউজিল্যান্ডকে প্রথম ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান তিনি। শুরুটা একেবারেই ভাল হয়নি কিউই বাহিনীর। একদিকে যেমন 11 রানে হেজেলউডের শিকারে পরিনত হন মিচেল। তেমনি অন্যদিকে গাপটিলের রান তোলার গতিও ছিল ভীষণ খারাপ। শেষ পর্যন্ত 35 বলে 28 রান করে জাম্পার হাতে উইকেট তুলে দেন তিনি।
তবে এদিন খেলা বদলে দেন কিউয়ি অধিনায়ক কেল উইলিয়ামসন। বিশ্বকাপের এই মহা গুরুত্বপূর্ণ ফাইনাল ম্যাচে মাত্র 48 বলে 85 রানের অধিনায়কোচিত ইনিংস উপহার দেন তিনি। আজ উইলিয়ামসন তার ইনিংস সাজিয়েছিলেন দশটি চার এবং তিনটি ছয় দিয়ে। কার্যত তার দৌলতেই শেষ পর্যন্ত চার উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে 172 রান সংগ্রহ করে নিউজিল্যান্ড।
মাত্র 16 রান দিয়ে এদিন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একাই 3 উইকেট দখল করেন হেজেলউড। একটি উইকেট পান জাম্পা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে অবশ্য শুরুতেই বোল্টের শিকার হন অধিনায়ক ফিঞ্চ। তবে এদিন ফের একবার জ্বলে ওঠেন ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শ। মাত্র 38 বলে চারটি বাউন্ডারি এবং তিনটি ওভার বাউন্ডারি দিয়ে সাজানো 53 রানের অসাধারণ ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত বোল্টের হাতে বোল্ড হন ওয়ার্নার।
তবে ওয়ার্নার সঙ্গ ছাড়লেও রবিবার নিজের দায়িত্ব পালনে কোন খামতি রাখেননি মিচেল মার্শ। আর অন্যদিকে ম্যাক্সওয়েলও ছিলেন সুন্দর ফর্মে। যার ফলে ওয়ার্নার সাজঘরে ফেরা সত্বেও সেভাবে কোন চাপ অনুভব করতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। কার্যত চার ওভার বাকি থাকতেই এদিন বাতাসে জয়ের গন্ধ পেতে শুরু করেন ওয়ানডে ক্রিকেটে পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নরা। শেষ পর্যন্ত মার্শের 77 এবং ম্যাক্সওয়েলের 28 রানের ইনিংসের দৌলতে 7 বল বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া। এই জয়ের সাথে সাথেই টি-টোয়েন্টিতে প্রথম বার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হল অজি বাহিনী।