বাংলা হাট ডেস্কঃ পয়েন্ট টেবিলে নেট রান রেটের ভিত্তিতে সাউথ আফ্রিকাকে পেরিয়ে উপরে উঠে আসতে হলে বাংলাদেশকে বড় ব্যবধানে হারাতে হতো ফিঞ্চ বাহিনীকে। আর বৃহস্পতিবার ডাক্তারের নির্দেশ মেনে ঠিক সেই কাজটাই করলেন জ্যাম্পা, স্টার্ক, হেজেলউডরা। এদিনও টসে জিতে ফের একবার বাংলাদেশকে প্রথম ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। আর মাঠে নেমে কার্যত নিজেদের প্রধান অস্ত্র স্পিনের বিরুদ্ধেই চোখে সর্ষেফুল দেখলেন বাংলা টাইগাররা। শামীম হোসেনের ১৯, মাহমুদউল্লাহর ১৬, নঈমের ১৭ রান বাদ দিলে দুই অঙ্কের স্কোরেও পৌঁছাতে পারেননি কোন বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান।
কার্যত এই চূড়ান্ত ব্যাটিং ধ্বসের প্রধান কারণ হয়ে ওঠেন অস্ট্রেলিয়ার লেগ স্পিনার অ্যাডাম জ্যাম্পা। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়েই ৫ উইকেট শিকার করে নেন তিনি। যদিও তার আগেই টপ অর্ডারের কোমর ভেঙে দিয়েছিলেন স্টার্ক, হেজেলউড এবং ম্যাক্সওয়েল। একদিকে যেমন দুটি করে উইকেট শিকার করেন স্টার্ক এবং হেজেলউড, তেমনি বাংলাদেশের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিমকে ঘরে ফেরান ম্যাক্সওয়েল। যার জেরে শেষ পর্যন্ত মাত্র ৭৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলা টাইগাররা।
বলের মত ব্যাটিংয়েও শুরু থেকেই ঝড় তুলেছিলেন অজি ব্যাটসম্যানরা। বিশেষত অধিনায়ক ফিঞ্চ আজ ছিলেন রীতিমতো মারমুখী মেজাজে। মাত্র ২০ বলে ২০০ স্ট্রাইক রেটে ৪০ ঝড়ো ইনিংস খেলেন তিনি তাতেই দেওয়ালে পিঠ থেকে গিয়েছিল বাংলাদেশের। যদিও তাসকিন আহমেদের বলে তিনি বোল্ড হওয়ার পর ১৮ রান করে তার পিছু নেন ওয়ার্নারও। তবে অস্ট্রেলিয়ার জন্য এতে কোনও নতুন সমস্যা তৈরি হয়নি।
https://twitter.com/ICC/status/1456234072058089481?t=qB4o6qJY6dzHtEtndB9RBg&s=19
মাত্র ৫ বলে ১৬ রানের সুন্দর ক্যামিও খেলে ১৩.৪ ওভার বাকি থাকতেই অস্ট্রেলিয়াকে কাঙ্খিত জয়ের নায়ক মিচেল মার্শ। এই জয়ের ফলে শুধু যে অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলো তাই নয়। এই মুহূর্তে তাদের নেট রান রেট +১.০৩১, যা ছুঁতে হলে যথেষ্ট কসরত করতে হবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। তার উপর তাদের আগামী ম্যাচ রয়েছে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে যে ম্যাচে ইংল্যান্ডের পাল্লা স্বাভাবিকভাবেই ভারী। তাই কার্যত পরের ম্যাচ জিতলে অস্ট্রেলিয়া যে কোয়ালিফায়ারের দৌড়ে অনেকখানি এগিয়ে থাকবে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।