বিধাননগরে যাত্রীকে টাকা ভর্তি ব্যাগ ফিরিয়ে দিলো মানবিক অটোচালক

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কখনও ভাড়া নিয়ে ঝামেলা তো কখনও কাটা রুট নিয়ে তর্কাতর্কি আবার কখনো বা অন্য কিছু।অটোচালক দের সাথে সাধারন মানুষ এর ঝামেলা নিত্যদিনের।কিন্তু এখনো যে মানবতা বেঁচে আছে তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত তুলে ধরলেন করুণাময়ী থেকে উল্টোডাঙ্গা রুটের এক অটো চালক।
তাঁতের হাট মেলা বসেছে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক মাঠে। ওই মেলাতে পণ্য বিক্রি করার জন্য এসেছিলেন নদিয়ার ফুলিয়ার বাসিন্দা নিমাই রায় ও তাঁর সঙ্গী দিলীপ মালাকার। শুক্রবার মেলা শেষে তারা টাকা ও পণ্য গুটিয়ে অটোয় ওঠেন। অটোর চালক ছিলেন বেলেঘাটার বাসিন্দা সঞ্জীবন মল্লিক। ট্রেন ধরার কথা ছিল বলে উল্টোডাঙ্গা স্টেশনে নেমে যান নিমাইবাবুরা। কিন্তু ট্রেন ফেল করার ভয়ে অটোতে ফেলে যান কালো রঙের ব্যাগ।

ওই ব্যাগে ছিল বিকিকিনির টাকা। ট্রেন এ ওঠার আগে তারা বুঝতে পারেন অটোয় ব্যাগ ফেলে এসেছেন।স্টেশন থেকে বেরিয়ে অটোটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। হতাশ হয়ে যান তিনি, ভাবেন আর মনে হয় ব্যাগটি পাওয়া যাবেনা। মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে তিনি বাড়ি ফিরে যান। শনিবার সকালে বিধাননগর পূর্ব থানায় আর একটি অভিযোগ দায়ের করেন নিমাইবাবু।
ব্যাগ ফিরে পাওয়ার আশা প্রায় ছিলই না। রবিবার দিন সকালে হঠাত্ নিমাই রায়ের কাছে আসে একটি ফোন । বিধাননগর পূর্ব থানা থেকে জানানো হয়, তাঁর ব্যাগটির খোঁজ মিলেছে। এরপর সন্ধেয় সেই অটোচালকের হাত থেকে টাকার ব্যাগটি নেন নিমাইবাবু।

boy
অটো চালক সঞ্জীবন মল্লিক জানান, শুক্রবার রাতে নিমাইবাবুদের ছাড়ার পর অটো নিয়ে আর বেরোননি। পরের দিন সকালে তাঁর স্ত্রীর অসুস্থতার খবর পেয়ে চলে যান কল্যাণীতে। রবিবার সকালে বাড়ি ফিরে অটো পরিষ্কার করতে করতে পিছনের আসনের এক কোণায় দেখতে পান একটি কালো রঙের ব্যাগ। খুলে দেখেন কিছু ওষুধ রয়েছে।তারপর আরেকটি চেন খুলতেই বেরিয়ে আসে অনেক গুলো টাকা।
কী কর্তব্য বুঝে উঠতে না পেরে বিধাননগর পূর্ব থানায় আসেন সঞ্জীবন মল্লিক ও সেখানে টাকাভর্তি ব্যাগটি জমা দেন। বিকেলে সঞ্জীবন ও নিমাইকে পুলিশ ডেকে পাঠালে নিমাই বাবুর হাতে ব্যাগটি তুলে দেন সঞ্জীবন মল্লিক।

Udayan Biswas

সম্পর্কিত খবর