বাংলা হান্ট ডেস্ক: মাত্র এক সপ্তাহ আগে ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ অটো কিনেছিলেন ২৬,০০০ টাকা দিয়ে। কিন্তু জরুরি কাগজপত্রই বানাতে ভুলে গেলেন ওডিশার ভুবনেশ্বরের বাসিন্দা ওই চালক। রাস্তায় ট্রাফিক আইন ভাঙার দায়ে ধরা পড়েন আর নয়া নিয়মে জরিমানা ধার্য করা হল ৪৭,৫০০ টাকা। জরুরি কাগজপত্র ছাড়াই রাস্তায় অটো চালাচ্ছিলেন চালক। অটোর দামের প্রায় দ্বিগুণ জরিমানায় মাথায় হাত মালিকের।
বুধবার ভুবনেশ্বরের আচার্য বিহারে রাস্তায় ট্রাফিক পুলিস চালকের কাছে অটোর কাগজপত্র দেখতে চান। কিন্তু তাঁর কাছে ড্রাইভিং লাইসেন্স, বিমা, দূষণের সার্টিফিকেট এমনকি পরিবহণ দফতরের অনুমোদনের শংসাপত্র- কোনওটাই নেই! সেকেন্ড হ্যান্ড অটো কেনার পর কোনওরকম নথিপত্র ছাড়াই দিব্যি অটো চালাচ্ছিলেন চালক। শুধু তাই নয়, অটো চালানোর সময়ে ওই চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন। ফলে নয়া আইন অনুযায়ী, একাধিক ধারায় মোটা টাকার জরিমানা করা হয় অটোর মালিককে।
জানা গিয়েছে, বিনা নথিতে চালক দিয়ে অটো চালানোর জন্য ৫,০০০টাকা, চালকের সঙ্গে ড্রাইভিং লাইসেন্সের নথি না থাকায় ৫,০০০ টাকা, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট না থাকায় ৫,০০০ টাকা, বিমা না করানোয় ২,০০০ টাকা, অনুমোদনের শর্ত ভাঙায় ১০,০০০টাকা, মত্ত অবস্থায় অটো চালানোর জন্য ১০,০০০ টাকা ও পরিবেশ দূষণ সার্টিফিকেট না থাকায় আরও ১০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এর সঙ্গে অপরাধমূলক কাজের জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
অবশ্য নিজের হয়ে সংবাদমাধ্য়মের কাছে সাফাই গেয়েছেন ওই অটোর মালিক। “আমার অটোর দামের দ্বিগুণ জরিমানা করা হয়েছে। আমার বাড়িতে সব কাগজপত্র আছে। কিন্তু চালককে ওই দিন দেওয়া হয়নি।”
প্রসঙ্গত, বুধবার সকালেই দিল্লির এক ব্যক্তিকে তার স্কুটারের দামের চেয়েও বেশি অঙ্কের জরিমানা করা হয়। ১৫,০০০ টাকার সেকেন্ড-হ্যান্ড স্কুটারের নথিপত্র না থাকায় জরিমানা করা হয় প্রায় ২৩,০০০ টাকা।