বাংলাহান্ট– বাংলার নোবেল জয় বাঙালির। চলতি বছরে অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। অমর্ত্য সেন ও মহম্মদ ইউনুসের পর অর্থনীতিতে, তৃতীয় নোবেল বাঙালির ঝুলিতে।
বিশ্ব গর্বীত অর্থনীতি কাজের জন্য। যে তিন অর্থনঅর্থনীতিবিদ এবার নোবেল পেলেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন অভিজিৎ বন্দোপাধ্যায়। বাকি ২ জন হলেন এস্তের ডাফলো এবং মাইকেল ক্রেমার।
ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা সদ্য নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক চাই বাজারদর খর্ব করবেন অমর্ত্য সেনের, কারণ সাম্পতিক সময়ে অমর্ত্য সেনের মন্তব্য অনেকটাই ছিল কেন্দ্রের শাসক দল বিরোধী। বিশেষ করে তাঁর নামের প্রতি মন্তব্য মাইলেজ দিয়েছিল। পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল ও তৃণমূল একঅংশ তার মন্তব্য কেফ্লেক্স বানিয়ে প্রচার করেছিল। কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি অমর্ত্য সেনের মন্তব্য তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছিল। অমর্ত্য সেন একমাত্র পশ্চিমবঙ্গের বাঙালি হিসেবে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছেন, ফলে অর্থনীতিতে তার বক্তব্যকে মিলের ফলক বলে ধরা হতো। এবার দেখার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় কোন দিকে মোড় নেয়। যদি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় তার এতদিনের প্রেক্ষাপট অর্থ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বজায় রাখেন। সে ক্ষেত্রে স্বস্তি পাবে সমস্ত রাজনৈতিক দল কিন্তু তিনি যদি কোনো রাজনৈতিক সেক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বে বাকিরা।
সাম্প্রতিক যতবার অর্থনীতিবীদ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন বাংলা এসেছেন ততবার বিজেপির হিন্দুত্ববাদের প্রতিবাদ করেছেন এবং বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের রোষের মুখে পড়তে হয়।
সেই পরিপ্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষ একটি সভায় বলেন অমর্ত্য সেন বাংলার জন্য কি করেছে? তিনি নোবেল পাওয়ার পর থেকেই তিনি বিদেশে থাকেন। ছুটি কাটাতে তিনি যখন শান্তিনিকেতনে আসেন তখন দেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা না বলে তিনি উদ্দেশ্য নিয়ে কথা বলেন।
এখন দেখার বিষয় আর এক বাঙালি যিনি সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পড়াশোনা করার পর প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি তে শিক্ষকতা করেছেন। তিনি বিজেপির সমালোচনার মুখে পড়েন কিনা রাজনৈতিক মহল মনে করছে। অমর্ত্য সেনের যে গুরুত্ব দিত বাঙ্গালীরা সেই গুরুত্ব কিছুটা হলেও খর্ব হবে, কারণ আর এক বাঙালি ও অর্থনীতিতে নোবেল পেলেন।
দলের মধ্যেই অভিষেককে কোণঠাসা করছেন কে? সামনে বিস্ফোরক অভিযোগ…