বাংলাহান্ট ডেস্ক : যেকোনো ধরনের ফল স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো। কিন্তু বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী ফল হিসেবে পরিচিত অ্যাভোকাডো (Avocado) বোধ হয় একটু বেশি ভালো অন্যগুলির থেকে। বাজারে এক-একটি অ্যাভোক্যাডোর বিক্রি হয় ২৫০-৩০০ টাকায়। তাই অ্যাভোকাডো (Avocado) চাষ করলে কৃষকরা যে বিপুল লাভবান হবেন তা বলাই বাহুল্য।
অ্যাভোকাডো (Avocado) চাষে (Farming) লাভ
বিদেশের পাশাপাশি দেশেও বাড়ছে অ্যাভোকাডো (Avocado) চাহিদা। সম্প্রতি ইসরায়েলের মত মধ্যপ্রদেশের (Madhyapradesh) ভোপালে (Bhopal) অ্যাভোকাডো চাষ (Farming) করছেন হর্ষিত গোধা। হাস, ল্যামভাস, পিঙ্কারটন, এটিঙ্গার এবং রিট-এই পাঁচ ধরনের অ্যাভোকাডো চাষ করছেন তিনি। প্রতি অ্যাভোকাডোর দাম ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা।
আরোও পড়ুন : ধামাকা অফার! এবার ১৫ হাজার টাকা পাবেন ৩ মাস পর পর! পোস্ট অফিসের এই স্কিমটি জানেন তো?
মাটিতে নিউট্রিয়েন্টের ভাগ বেশি থাকলে অ্যাভোকাডো ভালো চাষ করা যায়। সেক্ষেত্রে অ্যাসিডিক বা অম্ল মাটি বেশ উপযুক্ত। এই মাটির পিএইচ-এর মান ৬.৭ হলে খুব ভালো। ক্ষারীয় মাটিতে অ্যাভোকাডো চাষ করতে গেলে বেশি করে জল দিতে হবে। অ্যাভোক্যাডো উষ্ণ জলবায়ুর ফসল। ১৫-২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন অ্যাভোকাডো (Avocado) চাষ করতে।
আরোও পড়ুন : আগস্ট মাসে ১৩ দিন বন্ধ ব্যাংক! আগেভাগেই মিটিয়ে সব কাজ, নাহলেই বাড়বে ভোগান্তি
অ্যাভোকাডো চাষ করার জন্য প্রথমে ভালো করে জমি কর্ষণ করে এবং জমির আগাছা পরিষ্কার করে বীজ বুনতে হয়। এইভাবে নার্সারিদের সাত মাসের জন্য গাছ তৈরি করতে হবে। চারা গাছ জমিতে বপন করার সময় ৮০*৮০ গর্ত খুঁড়তে হবে। ১:১ অনুপাতে সার আর মাটি মেশাতে হবে সেই গর্তে। এবার গাছ বসাতে হবে ১০ থেকে ১২ মিটার ব্যবধান রেখে। সঙ্গে পর্যাপ্ত জল সেচের ব্যবস্থা রাখতে হবে। প্রতি দুই তিন সপ্তাহে জল দিতে হবে।
হর্ষিত গোধা জানান, মার্চ এবং এপ্রিল অথবা সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর হল অ্যাভোক্যাডো চাষের আদর্শ সময়। মার্চ-এপ্রিলে চাষ গাছ বসালে ফল ধরতে শুরু করে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর নাগাদ। অ্যাভোকাডো বিভিন্ন রোগের ক্ষেত্রে দারুন উপকারি। চুল পড়া থেকে শুরু করে ত্বকের রোগ কিংবা চোখের সমস্যা সারিয়ে তুলতে এর জুরি নেই। অ্যাভোকাডো প্রদাহ কমাতে ভালো কার্যকরী। অনেকে নিজেদের ডায়েটে অ্যাভোকাডো রাখেন।