বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মধ্যযুগীয় পণ্ডিতদের অন্যতম ছিলেন চাণক্য। তার অর্থনীতি এবং কূটনৈতিক জ্ঞান রাজ্য পালনের কাজে রাজাদের সর্বদা সাহায্য করে এসেছে। তবে চাণক্য শুধুমাত্র রাজনীতি এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেননি। তাঁর রচনায়, দারিদ্র্য এবং দারিদ্র্য থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে বেশ কিছু দিক নির্দেশ করেছেন চাণক্য। আজ সেধরনের কিছু নীতিকথাই আপনাদের সামনে তুলে ধরব।
★চাণক্যের মতে দারিদ্র থেকে মুক্তির কিছু উপায় রয়েছে। এমন কিছু অভ্যাস রয়েছে যা নিজের পরিবর্তন করা একান্ত দরকার। যেমন প্রত্যহ সূর্য ওঠার আগেই বিছানা পরিত্যাগ করা। চাণক্য নীতি অনুযায়ী প্রত্যহ ভোরে ঘুম থেকে ওঠা একান্ত জরুরী। লক্ষীদেবী তাদের উপরেই প্রসন্ন হন যারা নিত্যদিন ভোরবেলা ওঠেন এবং সুচারুরূপে নিত্তনৈমিত্তিক ক্রিয়া সম্পন্ন করে নিজের কাজে মন দেন।
★চাণক্যের মতে প্রত্যেক দিন স্নান এবং শুদ্ধ ও পরিষ্কার বস্ত্র পরিধান করা একান্ত জরুরী। এতে শরীর সুস্থ সবল থাকে এবং রোগের সম্ভাবনা কমে। তাই চিকিৎসা খরচ অনেকটাই কম হয়।
★ চাণক্যের নীতি অনুযায়ী প্রত্যহ সুষম খাবার গ্রহণ একান্ত জরুরী। সঠিক সময়ে খাবার গ্রহণ করলে শরীর রোগমুক্ত থাকে। বর্তমানে আমরা ফাস্ট ফুড এবং জাঙ্ক ফুডের প্রেমে মত্ত। যার জেরে নিজেরাই নিজেদের শরীরে ডেকে আনি নানা রোগ। সুষম খাদ্য গ্রহণ শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। তাতে আপনি নিজের কাজে সঠিকভাবে মন দিতে সক্ষম হন।
★ চাণক্যের নীতি অনুযায়ী কটুভাষীতা থেকে সর্বদা দূরে থাকা দরকার। মিষ্টভাষীতা মানুষকে সকল মানুষের কাছে প্রিয় করে তোলে। কিন্তু কটুভাষীতা বা অন্যের নামে টিপ্পনী করা আপনাকে সকলের কাছে অপ্রিয় করে তুলতে পারে। এতে লক্ষীদেবীও আপনার উপর অপ্রসন্ন হন।