বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি প্রকল্প আবাস যোজনায় (Awas Yojana) দীর্ঘদিন ধরেই টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই দীর্ঘদিন ধরেই বঞ্চিত বাংলার মানুষকে বাড়ি তৈরির জন্য নিজস্ব কোষাগার থেকেই টাকা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত বছরের ডিসেম্বর থেকেই যোগ্য উপভোক্তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে প্রথম কিস্তির টাকা।
আবাস প্রকল্প (Awas Yojana) নিয়ে বড় আপডেট!
আবাস প্রকল্প (Awas Yojana) নিয়েই এবার বড় ঘোষণা করলেন রাজ্যের পঞ্চায়েতে গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। বৃহস্পতিবার পুরুলিয়া দপ্তরে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজের পর্যালোচনা বৈঠকে এসেছিলেন তিনি। সেদিনই জানালেন এবার থেকে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের কর্মরত শ্রমিকদের কর্মশ্রী প্রকল্পে দেওয়া হবে মজুরি।
প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা (Awas Yojana) প্রকল্পেরকোন উপভোক্তার নামে যদি জব কার্ড থাকে এবং তিনি যদি সেই বাড়ি নির্মাণে শ্রম দিয়ে থাকেন তাহলে সর্বাধিক ৯৫ দিনের অদক্ষ শ্রমিকের মজুরি পেতেন সেই উপভোক্তা। এতদিন ১০০ দিনের কাজের প্রকল্প থেকে দেওয়া হতো এই মজুরি। যদিও পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে এই ১০০ দিনের প্রকল্পের কাজ।
আরও পড়ুন: মহাকুম্ভের পুণ্যার্থীদের জন্য সাহায্যের হাত বাড়ল নবান্ন! বড় সিদ্ধান্ত নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার
সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে পঞ্চায়েত মন্ত্রী এদিন অভিযোগ করলেন, দেশজুড়ে পর পর চারবার এই প্রকল্পের কাজের নিরিখে পশ্চিমবঙ্গ শীর্ষে থাকা স্বত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। শ্রমিকদের মজুরির টাকাও দেয়নি। শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী শ্রমিকদের বকেয়া টাকা মিটিয়েছেন। শ্রমিকদের কাজ দিতে ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্প চালু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
পঞ্চায়েত মন্ত্রী এদিন জানিয়েছেন, ‘বাংলার বাড়ি প্রকল্পে রাজ্যে মোট ১২ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা হবে। সেই কাজে নিযুক্ত শ্রমিকদের কর্মদিবস কর্মশ্রী প্রকল্পে যুক্ত হবে।’ প্রশাসনিক সূত্রে খবর, যদি কোনো উপভোক্তা বা শ্রমিকের জবকার্ড থাকে, তাহলে তিনি ‘কর্মশ্রী’ প্রকল্পে মজুরি পাবেন। এরফলে উপভোক্তাদের বাড়ির নির্মাণ খরচও অনেক কমে যাবে। একইসাথে এই প্রকল্পের সুবাদে গ্রামীণ এলাকায় শ্রমিকদের হাতেও টাকা আসবে। জবকার্ড প্রাপক শ্রমিকরা কী ভাবে এই প্রকল্পে যুক্ত হবেন, তা নিশ্চিত করতেই এদিন বিডিও ও পঞ্চায়েত প্রধানদের নির্দেশ দিয়েছেন মন্ত্রী।
বৈঠকে হাজির পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের সচিব পি উলগানাথন এপ্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘উপভোক্তারা কাজ শুরু করেছেন কি না তা নিচুতলায় গিয়ে খতিয়ে দেখতে হবে। অধিকাংশ উপভোক্তা গরিব। তাই এই প্রকল্পের টাকা কেউ যাতে অন্য কোন ভাবে খরচ না করেন তা নিশ্চিত করতে হবে।’একইসাথে তিনি জানিয়েছেন, এই প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ কোন উপভোক্তা বাড়ি নির্মাণে খরচ না করলে সংশ্লিষ্ট উপভোক্তার নামে পুলিশে অভিযোগ করা হবে।
একইসাথে এদিন পঞ্চায়েতমন্ত্রী জানিয়েছেন এই প্রকল্পের কোনো উপভোক্তা যদি অতীতে শৌচালয় নির্মাণের সুবিধা না পেয়ে থাকেন, তাহলে শৌচালয় গড়তেও তাঁরা আলাদা ভাবে ১২ হাজার টাকা পাবেন। মন্ত্রীর কথায়, ‘এ জন্য অবশ্য উপভোক্তাদের পৃথক ভাবে আবেদন করতে হবে।’