বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিগত কয়েকদিন ধরে শিরোনামে রয়েছে আবাস যোজনার (Awas Yojana) প্রকল্প। সরকারি এই প্রকল্প নিয়েই এবার উঠে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যাচ্ছে জলপাইগুড়িতে একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যতজন বাসিন্দা তার এক বা দুই শতাংশ বাসিন্দার নামও আবাসের (Awas Yojana) তালিকায় আসেনি। তালিকাটা নেহাত ছোট নয়।
জলপাইগুড়ির পঞ্চায়েত এলাকায় আবাস তালিকা (Awas Yojana) থেকে বাদ সবাই
কারণ হিসেবে সমীক্ষা বিভ্রাটকেই দায়ী করছে প্রশাসন। প্রশাসনিক আধিকারিক থেকে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সবারই এক কথা। ২০১৮ সালের সমীক্ষা থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী জলপাইগুড়ির খাগড়াবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাস প্রকল্পে নাম এসেছে মাত্র ১০১ জনের। ময়নাগুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত যেটি বর্তমানে পুরসভা ঘোষণা হয়েছে সেখানে নাম এসেছিল মাত্র ১০৬ জনের। একইভাবে মাধবডাঙা ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩২৪, শালবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ৩১৬ জন, আংরাভাষা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত ২৯৪ জন, শালবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ২০৯ জন, ডাবগ্রাম ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ১৩৩ জন, খড়িয়াতে ৯৭ জনের নাম এসেছে।
অথচ এই জলপাইগুড়ি জেলারই অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েতের ছবিটা একেবারে উল্টো। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েতের আবাসের তালিকায় নাম এসেছে বিপুল সংখ্যক কোথাও কোথাও সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে সাড়ে তিন হাজার। যার জন্য আবার প্রশাসনের তরফ থেকে দায়ী করা হচ্ছে আবাসের সমীক্ষাকে।
জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাসের (Awas Yojana) তালিকায় নাম কম থাকার কারণ হিসাবে উঠে আসছে একাধিক কারণ। কোথাও দাবি করা হচ্ছে, যে মোবাইলে সমীক্ষা হয়েছিল সেটি নাকি জলে পড়ে গিয়েছিল। আর তাতেই সব তথ্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে। একই রকম যুক্তি শোনা যাচ্ছে অন্যান্য গ্রাম পঞ্চায়েত থেকেও। এ নিয়ে শাসক দলের অন্দরেই তৈরী হয়েছে ক্ষোভ। জলপাইগুড়ির একটি ব্লকের তরফে দাবি করা হয়েছে, ২০১৮ সালের সমীক্ষায় কারা আবাস পাবেন বলে সে সব এলাকায় ‘জিয়ো ট্যাগিং’ করতে হয়েছিল, সে সময়ে অনেক এলাকায় নেটওয়ার্ক ছিল না সে কারণে সমীক্ষা অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাড়বে শীত! আজ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে কেমন থাকবে আবহাওয়া? আবহাওয়ার খবর
আবার কোথাও কারণ হিসাবে জানানো হচ্ছে এমন অনেক গ্রাম আছে যেখানে যে মোবাইল থেকে সমীক্ষা হয়েছিল সেই মোবাইলটি থেকে পরে আর কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। হিসাব অনুযায়ী জলপাইগুড়ি জেলা থেকে মোট ৭৯ হাজার নাম এসেছে আবাস প্রকল্পের জন্য। কিন্তু এই বিপুল সংখ্যক নাম এলেও।
কিছু কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে আবাসের তালিকা একেবারেশুরুতেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। এপ্রসঙ্গে শালবাড়ি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের উপ প্রধান রাম কুমার দত্ত বলেছেন, ‘চার বছর আগে সমীক্ষা হয়েছিল। আমাদের জনসংখ্যা পনেরো হাজারেরও বেশি, অথচ নাম এসেছে সামান্য। তখনই ভুল কিছু হয়েছিল, এখন আমরা কিছু বলতে পারব না।’