বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আবাস যোজনা (Awas Yojana) থেকে শুরু করে ১০০ দিনের কাজ কিংবা গ্রাম সড়ক যোজনা একাধিক সরকারি প্রকল্পে পশ্চিমবঙ্গবাসীর বরাদ্দের টাকা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অভিযোগে ইতিপূর্বে একাধিকবার কেন্দ্রের মোদী সরকারকে নিশানা করেছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। তাই ইতিমধ্যেই এই সমস্ত সরকারি প্রকল্পে নিজস্ব কোষাগার থেকেই টাকা দেওয়া শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
আবাস প্রকল্পে (Awas Yojana) সুবিধা পাচ্ছে তৃণমূল ঘনিষ্টরা!
সরকারি প্রকল্পের টাকায় দুর্নীতির অভিযোগ এনে রাজ্যের বিরুদ্ধে পাল্টা সরব হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারও। অভিযোগ করা হয়েছে যোগ্যদের বঞ্চিত করে আবাস প্রকল্পের সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শাসকদল ঘনিষ্ঠদের। এবার আরও একবার আবাস যোজনায় (Awas Yojana) তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এনে সরব হল বিজেপি। সেই নামের তালিকা তুলে দেওয়া হয়েছে বিডিওকে। ইতিমধ্যেই তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
দুবরাজপুর বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে বিজেপির তরফে। সেখানে বলা এমন অনেকেই আছেন যাদের পাকা বাড়ি, চার চাকা গাড়ি থাকতেও নাম রয়েছে আবাস প্রকল্পের (Awas Yojana) তালিকায়। এই অভিযোগ উঠেছে মূলত দুবরাজপুর ব্লকের বালিজুরি, লোবা পঞ্চায়েত এলাকায়। পুরো ঘটনায় তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন দুবরাজপুরের বিডিও।
বিজেপির অভিযোগ তৃণমূল নেতারা তাদের পরিবারের লোকজনকে এবং আত্মীয়-স্বজনদের আবাস প্রকল্পের (Awas Yojana) টাকা পাইয়ে দিচ্ছে। ইতিমধ্যেই শাসক দল ঘনিষ্ঠ এমন অনেকেই আবাস প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা পেয়েছেন যাদের পাকা বাড়ি এবং চারচাকা গাড়ি রয়েছে। বেশ কিছু উপভোক্তা এই আবাস প্রকল্পে বাড়ি পাওয়ার কথা স্বীকারও করেছেন। যদিও বিজেপির সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তাদের বক্তব্য যাদের পাওয়ার কথা তারাই বাড়ি পেয়েছেন।
আরও পড়ুন: পাল্টে যাচ্ছে নিয়ম? মাধ্যমিক পরীক্ষা শুরুর আগেই বড় পদক্ষেপ নিল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ!
গত বছরের শেষে আবাস প্রকল্পে (Awas Yojana) দুর্নীতির অভিযোগে বারবার কাঠগড়ায় উঠেছিল রাজ্যের শাসক দল। তবে বছরের শেষে প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে একেবারে উল্টো ছবি। দেখা যায় পাকা বাড়ি থাকতেও যে সমস্ত তৃণমূল নেতা কিংবা সদস্যদের নাম আবাস প্রকল্পে উঠেছে তারা নিজে থেকে উদ্যোগ নিয়ে আবাস প্রকল্পের টাকা ফিরিয়ে দিচ্ছেন। যদিও তাতে ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’ হয়নি। বেশ কিছু ক্ষেত্রে অবশ্য ব্যতিক্রমী ঘটনাও ঘটেছে। তৃণমূল নেতারা এত অল্প সময়ের মধ্যে রাজ প্রাসাদের মতো বাড়ি হাঁকালেন কি করে? তা নিয়েও উঠতে শুরু করে প্রশ্ন।
সম্প্রতি বাঁকুড়া থেকেও এমন একটি অভিযোগ সামনে এসেছিল যেখানে দেখা যায় আগে থেকে বসবাসের জন্য দোতলা বাড়ি থাকতেও তার নাম ছিল আবাসের বাড়ি তৈরির তালিকায়। সমীক্ষা শুরু হতেই বাড়ি ফেরানোর আর্জি জানিয়েছিলেন তৃণমূলের ওই নেতা। বাঁকুড়ার পাত্রসায়ের ব্লকের বালসী ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পানপুকুর মাঝিপাড়া এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় ব্যাপক রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূল সেই সময়ে এই ঘটনাকে সততা বলে প্রশংসা করলেও, বিজেপির তরফে কটাক্ষ করে বলা হয়েছিল,’ জনরোষে পড়ার ভয়েই এমন কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’