বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত নেমে কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে আসে কেউটে। পুরসভায় নিয়োগের ক্ষেত্রেও দুর্নীতি হদিশ মেলে। অভিযোগ ওঠে টাকার বিনিময়ে বিক্রি হয়েছে হাজার হাজার চাকরি। এরপরই আদালতের নির্দেশে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় সংস্থা। শিক্ষক দুর্নীতি (Recruitment Scam) মামলায় সম্প্রতি ইডির হাতে ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীলের (Ayan Shil) সূত্র ধরেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে তদন্তকারীদের হাতে।
এই প্রোমোটার অয়ন শীলের সূত্র ধরেই সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রীর বাড়িতে হানা দেয় ইডি, সিবিআই। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে চলে চিরুনি তল্লাশি। পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়িতে সম্প্রতি হানা দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
অন্যদিকে মঙ্গলবার বিচারবিভাগীয় হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলে অয়ন শীলকে আনা হয় আদালতে। আর সেখানেই ইডি এবং সিবিআই তল্লাশি প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হয় অয়নকে। ”ফিরহাদ হাকিম, রথীন ঘোষদের এদের আপনি চেনেন? এদের ভূমিকা কী? ইডি, সিবিআই তো পর পর তল্লাশি চালাচ্ছে।”
সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে অবশ্য জবাবও দেন অয়ন। তিনি বলেন, ”এই বিষয় গুলো আদালতে বিচারাধীন বিষয়। এ নিয়ে এখন কোনও কিছু বলা যাবে না।” হাঁটতে হাঁটতে শুধু এইটুকু উত্তর দেন অয়ন শীল।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতি থেকেই ফের বৃষ্টি? আজ কেমন থাকবে দুই বঙ্গের আবহাওয়া? জানাল আবহাওয়া দপ্তর
প্রসঙ্গত নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হুগলীর বহিষ্কৃত যুবনেতা কুন্তল ঘোষের পরই আরেক যুবনেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রেফতার হন। এই শান্তনুর
সূত্র ধরেই উঠে আসে তার ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলের (Ayan Shil) নাম। এরপর অয়নের চুঁচুড়ার বাড়ি এবং সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালায় ইডি। ইডি সূত্রে দাবি তার অফিস ও ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে পুরসভায় নিয়োগের পরীক্ষার ওএমআর শিট, পুর নিয়োগের নথিও ইত্যাদি উদ্ধার করা হয়।