বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জোর অ্যাকশনে সিবিআই (Central Bureau Of Investigation)। নিয়োগ দুর্নীতির টাকা কোথায় গিয়েছে? হদিশ পেতে এদিন প্রেসিডেন্সি জেলে হাজির হানা দিল তদন্তকারী টিম। সেখানেই জেলবন্দি সুজয়কৃষ্ণকে (Kalighater Kaku) জেরা করা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। কেবল সুজয়ই নয়, পাশাপাশি ধৃত প্রোমোটার অয়ন শীল এবং শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কেও কেন্দ্রীয় এজেন্সি জেরা করবে বলে সূত্রের খবর।
টালবাহানার পর ইডির হাতে এসেছে কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনার রিপোর্ট। গত বুধবার সেই রিপোর্ট কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জমাও দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ওরফে ইডি (Enforcement Directorates)। আদালতে ইডি জানিয়েছে উদ্ধার হওয়া কল রেকর্ডিং এর সাথে কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলে গিয়েছে।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আগেই কালীঘাটের কাকুকে জেরা করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল সিবিআই। সূত্রের খবর, জেলবন্দি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই সুজয়কৃষ্ণ, অয়ন শীল ও শান্তনুকে জেরা করতে পৌঁছেছে সিবিআই।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই জেরায় অয়ন শীল জানিয়েছিলেন, কুন্তল ঘোষের নির্দেশেই পার্থ ঘনিষ্ঠ সন্তু বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২৬ কোটি টাকা দিয়েছিলেন তিনি। বিপুল পরিমান এই টাকা কোথায় গেল সেই রহস্য উদ্ঘাটন করতেই সুজয়কৃষ্ণকে জেরা করছে সিবিআই। অয়ন শীলের কাছ থেকে পাওয়া টাকা কী ভাবে সন্তুর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল সেই বিষয়ে শান্তনু ও অয়নকে।
এদিন বেলা ১১টা নাগাদ প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে জ্যাম সিবিআইয়ের ৫ আধিকারিক। সেখানেই তিন অভিযুক্তকে জেরা করা হচ্ছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ৩০ মে ১১ ঘণ্টা জেরার পর প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুজয়কৃষ্ণকে গ্রেফতার করে ইডি। কাকুকে গ্রেফতার করার পর পরই তদন্তকারীরা দাবি করেন, বিষ্ণুপুর থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরাকে দিয়ে যাবতীয় দুর্নীতি চালাতেন সুজয়কৃষ্ণ। সূত্র ধরে রাহুল বেরার বাড়িতেও পৌঁছে যায় তদন্তকারী সংস্থা। তল্লাশি চালিয়ে রাহুলের ফোন বাজেয়াপ্ত করে ইডি।
এরপর বাজেয়াপ্ত হওয়া সেই ফোনের একটি কল রেকর্ডিং ইডির হাতে আসে বহুদিন আগে। ওই মোবাইলের কল রেকর্ডিংয়ে কাকুর কণ্ঠস্বর পাওয়া গিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করেছিল ইডি। সিভিক ভলান্টিয়ার রাহুল বেরার ফোনে নিয়োগ সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি মুছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন সুজয়। সেই সিভক ভলান্টিয়ারকেও নিজামে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।
আরও পড়ুন: বিপাকে অভিষেক! তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা? তোলপাড় রাজ্য
কল রেকর্ডিং এর বিষয়ে প্রমাণ পেতে সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা পেতে মরিয়া হয়ে ওঠে সিবিআই। দীর্ঘ টালবাহানার পর কাকুর কণ্ঠ হাতে পায় ইডি। বুধবার সেই কণ্ঠ সংক্রান্ত রিপোর্টই আদালতে জমা দেয় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। কলকাতা হাই কোর্টে ফরেন্সিক রিপোর্ট জমা দেয় ইডি। এবার সেই সূত্র ধরে কোন তথ্য সামনে উঠে আসে সেটাই দেখার।