বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘ আইনি জটিলতার পর গত বছর ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের হাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন মন্দিরের রাম লালার বা ভগবান রামের বাল্য মূর্তির। এবার প্রায় দেড় বছর পর ফের প্রভু রামের মূর্তি বসতে চলেছে অযোধ্যার রাম মন্দিরে। রাম মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী মাসেই মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করা হবে রাজা রামচন্দ্রের মূর্তি।
নয়া আপডেট দিল অযোধ্যার রাম মন্দির (Ayodhya Ram Mandir)
২০২০ সালের ৫ই আগস্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অযোধ্যার রাম মন্দিরের শিলান্যাস করেন। দীর্ঘ চার বছর পর ২০২৪ সালের ২২ শে জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। সেবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের হাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করেন রামলালার। সেই ধারা বজায় রেখে প্রধানমন্ত্রী এবারও মন্দিরের রাম রাজার মূর্তি স্থাপন করবেন কিনা সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
আরও পড়ুন : ব্যক্তিগত সফরে গিয়ে রহস্য মৃত্যু রাজ্যের মুখ্যসচিবের, উজবেকিস্তানের হোটেল থেকে উদ্ধার হল দেহ
রামজন্মভূমি ট্রাস্ট জানাচ্ছে, মন্দিরের বাকি অংশের কাজ চলছে পুরোদমে। ১৫ ই এপ্রিলের মধ্যে অযোধ্যার রাম মন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এখনও ২০ হাজার কিউবিক ফুট পাথর বসানো হবে মন্দিরে। বেশ কিছু সৌন্দর্য্যায়নের কাজও বাকি রয়েছে। কাজ সম্পন্ন হলে আগামী মে মাসেই রাজা রামচন্দ্রের মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হবে মন্দিরে।
আরও পড়ুন : দিদি বললে ইস্তফাও মঞ্জুর! কল্যাণের বিস্ফোরক অভিযোগের পর ওই ‘সুন্দরী’ সাংসদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে দল?
রামজন্মভূমি ট্রাস্ট সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, অযোধ্যার রাম মন্দিরের রাম লালার মূর্তি নির্মাণ করেছিলেন কর্নাটকের শিল্লী অরুণ যোগীরাজ। তাঁর হাতেই গড়ে উঠছে রাজা রামচন্দ্রের মূর্তি। আরও ২০ জন শিল্পী সঙ্গ দিচ্ছেন অরুণকে। জানা গিয়েছে, মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর লাগোয়া ২০ একর জমিতে শুরু হবে সৌন্দর্য্যায়নের কাজ। রামচরিতমানসের রচয়িতা তুলসিদাসের মূর্তিও বসানো হবে অযোধ্যার প্রবেশদ্বারে।
অযোধ্যার (Ayodhya) যে জমিতে রাম মন্দির গড়ে উঠেছে তা নিয়ে বিতর্ক চলছে বিগত আড়াইশো বছর ধরে।মন্দির-মসজিদ বিবাদের নিষ্পত্তি করে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ২০১৯ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত জমি রামচন্দ্রের জন্মভূমি বলে ঘোষণা করে। ভারতের শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারের বিশেষ উদ্যোগে শুরু হয় রাম মন্দির নির্মাণের কাজ।