বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের আলিগড় তালা তৈরির জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। সেখানে বসবাসকারী এক বয়স্ক দম্পতি একদা 300 কেজির একটি বড় তালা তৈরি করেছিলেন এবং এখন তার চেয়ে বড় 400 কেজির একটি তালা তৈরি করেছেন। বৃদ্ধ দম্পতির তৈরি করা এই তালাটিকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তালা বলা হচ্ছে। তালাটিকে আলিগড়ের রাজ্য শিল্প ও কৃষি প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছে। প্রদর্শনীতে আসা লোকজন এই বিশাল তালা দেখে অবাক। বৃদ্ধ দম্পতি জানিয়েছেন যে, অযোধ্যায় তৈরি হওয়া রাম মন্দিরে এই তালা তুলে দিতে চান তাঁরা।
আলিগড় জ্বালাপুরীর বাসিন্দা সত্যপ্রকাশ তার স্ত্রী রুকমণিকে নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তালা তৈরি করেছেন। যার দৈর্ঘ্য 10 ফুট লম্বা এবং প্রস্থ 6 ফুট, সেই সাথে তালার ওজন 400 কেজি। এই তালাটি 30 কেজির চাবি দিয়ে খোলা হয়। চাবিটির দৈর্ঘ্য 4 ফুট। 1 লাখ টাকা ব্যয়ে এই তালাটি তৈরি করতে 6 মাস সময় লেগেছে। এর গায়ে রামদরবারের আকৃতিও খোদাই করা রয়েছে।
তালা প্রস্তুতকারক সত্যপ্রকাশ শর্মার স্ত্রী রুকমণি দেবী শর্মার মতে, তিনি রাম মন্দিরের জন্য একটি তালা তৈরি করতে চেয়েছিলেন। আর এই কারণেই এই 400 কেজির তালাটি তৈরি করা হয়েছে। রুকমণি দেবীর স্বামী হার্টের রোগী, যার কারণে বিশেষ এই তালাটি তৈরি করতে সময় বেশি লেগেছে। রুকমণি দেবী জানান, রামমন্দিরের জন্য এই তালাটি দান করতে চাই। তিনি জানান, প্রদর্শনীতে তালাটি দেখে অনেকেই আমাদের সাথে সেলফি তুলছে এবং আমাদের শুভকামনা জানাচ্ছে। জানিয়ে দিই, এই পরিবারটি গত 40 বছর ধরে তালা তৈরির ব্যবসার সাথে জড়িত।
সত্যপ্রকাশ জানিয়েছেন, অযোধ্যায় পাঠানোর আগে এই তালাটিতে অনেক পরিবর্তন করা হবে। বাক্স, লিভার, হুডের মতোই পিতলের তৈরি হবে। লকটিতে একটি স্টিলের স্ক্র্যাপ সিট বসানো হবে, যাতে মরিচা না পড়ে। এর জন্য আরও অর্থের প্রয়োজন, আর এই কারণে তাঁরা জনগণের কাছে সাহায্যের আবেদনও করছেন। সত্যপ্রকাশ 26 জানুয়ারি দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য কুচকাওয়াজে এই বিশাল তালার ট্যাবলো বের করতে চান। এর জন্য তিনি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারকে চিঠিও দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, এ বিষয়ে তিনি উপমুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখাও করেছেন এবং তার জবাবের অপেক্ষায় রয়েছেন।