বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত বুধবার ৮৫ বছর বয়সে শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন অযোধ্যার রামমন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) প্রধান পুরোহিত মহন্ত সত্যেন্দ্র দাস। অযোধ্যার প্রধান পূজারির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে ভূমিতে। প্রচলিত হিন্দু রীতি অনুযায়ী, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মৃত্যুর পর আত্মা পঞ্চভূতে বিলীন হয় অগ্নিদেবের কাছে সমর্পণের মাধ্যমে।
অযোধ্যার রামমন্দিরের (Ayodhya Ram Mandir) প্রধান পুরোহিতকে জলসমাধি
তবে সেই প্রথা না মেনে সাধু-সন্ন্যাসীদের মতই ভুমিতে জলসমাধির (Jal Samadhi) মাধ্যমে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হল সত্যেন্দ্র দাসের। তবে অযোধ্যার প্রধান পূজারির শেষকৃত্য যেভাবে সম্পন্ন হয়েছে তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। প্রয়াত সত্যেন্দ্র দাসের নশ্বর দেহ নৌকায় করে সাকেত নগরীর সরযূ নদীতে ফেলে দেওয়ার ভিডিও সৃষ্টি করেছে বিতর্ক।
আরোও পড়ুন : পার্থর ‘চেম্বারে’ চলতো বৈঠক! কারা থাকতেন? সব জেনে গেল CBI! ঘুরে যাবে নিয়োগ দুর্নীতির মোড়?
অযোধ্যার (Ayodhya) প্রধান পূজারির দেহ এভাবে ভারী বস্তু দিয়ে বেঁধে নদীতে ফেলে দেওয়ায় তাঁকে ‘অসম্মান’ করা হয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই । আবার সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই পরিবেশবিধি নিয়েও তুলেছেন প্রশ্ন। অযোধ্যার সাধু-সন্তদের মুখে অবশ্য শোনা যাচ্ছে ভিন্ন কথা। তাঁদের মতে এই প্রথা বহু প্রাচীন। তবে বর্তমানে এই ধরনের ঘটনা খুব একটা দেখা যায় না।
আরোও পড়ুন : B.Ed: বিরাট সুখবর! আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই বিএড-এ নিয়ম পরিবর্তন
এখনো সাধক সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত রয়েছে জলে মৃতদেহ সমাধিস্থ করার প্রথা। সাধক শ্রেণি বিশ্বাস করেন, জলসমাধির মাধ্যমে আত্মা নিশ্চিতভাবে মোক্ষ লাভ করে। জাগতিক মোহমায়া থেকে দূরে থেকে যারা সিদ্ধিলাভ করেন তাদের এইভাবে জলসমাধি দেওয়ার প্রথা চালু রয়েছে। কেউ কেউ দাবি করেন, এই ভাবেই সরযূতেই জলসমাধি দেওয়া হয়েছিল অযোধ্যা নৃপতি রামকেও।
উল্লেখ্য, লখনউয়ের সঞ্জয় গান্ধী পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এসপিজিআই)-এ গত বুধবার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সত্যেন্দ্র দাস। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। ১৯৯২ সালে বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পরবর্তী সময় ১৯৯৩ সাল থেকে অযোধ্যার প্রধান পূজারির পদে ছিলেন সত্যেন্দ্র দাস। পাশাপাশি ছিলেন অযোধ্যা রামমন্দির ট্রাস্ট্রের অন্যতম প্রধান সদস্য।
‘খোলাখুলি কিছুই বলা হয়নি…’ আরও এক দুর্নীতির ইঙ্গিত দিলেন শুভেন্দু! তোলপাড় বাংলা