বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গতবছর লকডাউনে হঠাৎই বিখ্যাত হয়ে উঠেছিল “বাবা কা ধাবা” নামে দিল্লির একটি বিশেষ খাবারের দোকান। করোনার প্রথম লকডাউনের কারণে খরিদ্দার মারাত্মকভাবে কমে যায় ‘বাবা কা ধাবা’য়। যার জেরে দিন গুজরান করাই কঠিন হয়ে পড়েছিল মালিক কান্তা প্রসাদ এবং তার স্ত্রী বাদামী দেবীর জন্য। কিন্তু এই সময় হঠাৎ তাদের পাশে এসে দাঁড়ান বিখ্যাত ইউটিউবার গৌরব ওয়াসান। নিজে বাবা কা ধাবায় খাবার খেয়ে অন্যদেরকেও এই ধাবায় আসার অনুরোধ জানান তিনি। ভিডিওটি ভাইরাল হতেই বিখ্যাত হয়ে ওঠে এই ছোট্ট খাবারের দোকানটি। রীতিমতো জনপ্রিয় হয়ে ওঠে তাদের খাবারও। আর্থিক সাহায্য করেন বহু মানুষ।
যার জেরে একটি নতুন রেস্তোরাঁও ভাড়া নেন কান্তা প্রসাদ এবং তার স্ত্রী। নিযুক্ত হয় তিন জন কর্মচারীও। সবকিছু চলছিল ঠিকঠাক। কিন্তু এবছর লকডাউনে ফের একবার ভিড় কমতে শুরু করে বাবা কা ধাবায়। এরমধ্যে গৌরবের সঙ্গেও সম্পর্কে চিড় ধরেছে কান্তা প্রসাদের। তার জন্য যত অর্থ তোলা হয়েছিল তা তাকে দেওয়া হয়নি এমনটাই অভিযোগ করেছিলেন তিনি। অভিযোগ অবশ্য এখন ফিরিয়ে নিয়েছেন কান্তা প্রসাদ। কিন্তু পেট না চলায় শেষ পর্যন্ত আবার পুরনো রেস্তোরাঁয় ফিরে আসেন তিনি।
কিন্তু পুরনো রেস্তোরাঁতেও মাথায় ঋণের বোঝা নিয়ে দিন চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছিল তাদের জন্য। আর সেই কারণেই কাল রাতে মদের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেন কান্তা প্রসাদ। আপাতত তিনি ভর্তি রয়েছেন দিল্লির সফদরজং হাসপাতলে। তার স্ত্রী বাদামী দেবী জানান “আমাদের অনেকটা দেনা হয়ে গিয়েছিল। যে রেস্তোরাঁ আমরা ভাড়া দিয়েছিলাম তার জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকা করে দিতে হচ্ছিল। কিন্তু মাসে ৩০ হাজার টাকার বেশি আয় হচ্ছিল না। তার ফলেই বিপুল ঋণের বোঝা চেপে গিয়েছিল আমাদের মাথায়। সেই কারণেই উদ্বিগ্ন ছিলেন উনি। এই উদ্বেগ থেকেই শেষ পর্যন্ত আত্মহত্যার চেষ্টা করেন।”
গৌরবের সঙ্গে সম্পর্কে চিড় মিটলেও নিজের জীবনে ফের একবার মারাত্মক সমস্যার মুখোমুখি কান্তা প্রসাদ এবং তার স্ত্রী। গৌরব নিজেই তাদের ছবি শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। আগামী দিনে তিনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন এটাই সকলের কামনা।