১৫ হাজার কোটি! তারকাখচিত ইফতার পার্টির কর্তা থেকে রিয়েল এস্টেট টাইকুন, কে এই বাবা সিদ্দিকি?

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাবা সিদ্দিকি (Baba Siddique)! গোটা বলিউডে এই মানুষটাকে সবাই এক ডাকে চেনে। সলমন ঘনিষ্ঠ তিনি। সলমন এবং শাহরুখের ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক জুড়ে দিয়েছিলেন তিনি। কোটি কোটি টাকার মালিক এই বাবা সিদ্দিকি। দশেরার সন্ধ্যায় গুলি করে আততায়ীরা খুন করে বাবা সিদ্দিকিকে। আতঙ্ক ছড়ায় মুম্বাই জুড়ে।

এই বাবা সিদ্দিকি (Baba Siddique) আসলে কে?

একাধারে তিনি এনসিপি’র নেতা হিসেবে তিনবারের বিধায়ক। অন্যদিকে রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী তিনি।বাবা সিদ্দিকির (Baba Siddique) রাজনীতি ও ব্যবসায় পদার্পণ নব্বইয়ের দশকে। ওই সময় জিনস্ আর টি-শার্ট পরা বাবা সিদ্দিকি ছিলেন বান্দ্রা পশ্চিমে যুব কংগ্রেসের সদস্য। মাত্র পাঁচ বছরের মাথায় তিনি হয়ে ওঠেন মুম্বাইয়ের রাজনীতির মুখ।

আরোও পড়ুন : আমরণ অনশনে জুনিয়র ডাক্তাররা! মুখ্যমন্ত্রী কেন আসছেন না? কুণালের কথায় তোলপাড়

রিয়েল এস্টেটের (Real Estate) বাজার যত বৃদ্ধি পায়, ততই রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক উত্থান ত্বরান্বিত হয় বাবা সিদ্দিকির। তার ঘর বাড়ি হয়ে উঠেছিল বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের সদর দপ্তর। ১৯৯৮ সালে বস্তি পুনঃউন্নয়ন নীতি চালু হলে কপাল খুলে যায় রিয়েল এস্টেট ডেভলপারদের। এই নীতি অনুযায়ী বিনামূল্যে বস্তিবাসীদের বাড়ি দেয় সরকার।

Baba Siddique Lifestory

পাশাপাশি ডেভলপারদের বাণিজ্যিক এবং বিলাসবহুল প্রকল্পের ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয় জমির কিছু অংশে। সেই সময় বাবা সিদ্দিকির রাজত্ব চলছে বান্দ্রা, খার এবং সান্তাক্রুজে, বাড়ছে রাজনৈতিক প্রভাব। সিদ্দিকির কাছের মানুষ এইচডিআইএল-এর প্রধান রাকেশ ওয়াধাওয়ান এবং রাজস্থানের রাজনীতিবিদ রফিক ম্যান্ডেলিয়া এ প্রকল্পে কাজ করছিলেন।

আরোও পড়ুন : আরেব্বাস! কী প্ল্যান BSNL’র! রীতিমতো টেক্কা দিচ্ছে Jio-Airtel’কে, এই অফারটা না জানলেই পস্তাবেন

২০২৩ সালে রাজস্থানের বিধানসভা নির্বাচন চলাকালীন ম্যান্ডেলিয়ার সম্পদের পরিমাণ জানা যায়, ১৬৬ কোটি টাকা। ১৯৯৯ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাবা সিদ্দিকি (Baba Siddique) বান্দ্রা পশ্চিম থেকে ভোটে দাঁড়ান। জড়িয়ে পড়েন বিএমসি-এর বিল্ডিং প্রস্তাবনা বিভাগের সঙ্গে। আর তারপর এই খবরের শিরোনামে উঠে আসেন তিনি।

Baba siddique 114810

সেই সময়, সিদ্দিকির অনুমতি ছাড়া পাওয়া যেত না বান্দ্রা পশ্চিমে বিল্ডিং ইউজ সার্টিফিকেট। এরপর সিদ্দিকি ২০০৪ সালে নিজের রিয়েল এস্টেট ফার্ম Geers Developers Pvt Ltd শুরু করেন সিদ্দিকি। তাঁর প্রথম কাজ লিংকিং রোডের লিঙ্ক স্কোয়ার মল।এরই মধ্যে একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করে বাবা সিদ্দিকির বিরুদ্ধে। 

২০১৭ সালে ইনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট তল্লাশি চালায় তাঁর বাটিতে। তাঁর ৩৩টি হাই এন্ড অ্যাপার্টমেন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয় অর্থ প্রচারের অভিযোগ তুলে। যদিও শেষ পর্যন্ত কিছুই প্রমাণ করতে পারিনি ইডি। বর্তমানে সিদ্দিকির সাম্রাজ্য ১৫ হাজার কোটি টাকা মূল্যের। তাঁর ব্যবসা আছে দুবাই এবং লন্ডনেও।

ad

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর