বাংলাহান্ট ডেস্ক: নতুন বছর আসতে আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। নতুন বছরে ভাল কিছু করার আশায় বুক বাঁধছেন অনেকেই। একইসঙ্গে নতুন বছর কেমন কাটবে তা জানাচ্ছেন জ্যোতিষীরাও। অনেক ক্ষেত্রে তাঁদের ভবিষ্যদ্বাণী (Prediction 2023) আশার কথা শোনালেও অনেকগুলি আবার খুবই ভয়ঙ্কর।
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ জ্যোতিষীদের কথা উঠলে প্রথমেই আসে বাবা ভেঙ্গা, ঋষি অচ্যুতানন্দ এবং মহন্ত করসনদাসের কথা। তাঁরা বহু বছর আগেই বলে গিয়েছিলেন পৃথিবীর ভবিষ্যত কেমন হতে চলেছে। প্রতিটি দশকের প্রতিটি বছর নিয়েই তাঁরা ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছেন। ২০২৩ সাল নিয়ে কী বলেছেন তাঁরা?
প্রথমে আসা যাক বাবা ভেঙ্গার ভবিষ্যদ্বাণীতে। তিনি বলেছেন, আগামী বছর পৃথিবীর জন্য খুবই ভয়ঙ্কর হতে চলেছে। এর আগেও তাঁর একাধিক ভবিষ্যদ্বাণী সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। ২০২৩ নিয়ে বাবা ভেঙ্গা বলেছেন, পৃথিবী তার কক্ষপথ বদল করবে। এর সরাসরি প্রভাব পড়বে বিশ্বে।
বিভিন্ন দেশ একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধে সামিল হবে। একাধিক জায়গা ভয়াবহ বন্যার কবলেও পড়বে। আমরা যদি তাঁর কথা অনুযায়ী বর্তমান সময়ে দেখি, এই মুহূর্তে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির মধ্যেও অশান্তি লেগেই রয়েছে। এছাড়াও পর্তুগাল ও অস্ট্রেলিয়ায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে।
ভারতীয় ঋষি অচ্যুতানন্দও ২০২৩ সাল নিয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করে গিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, আগামী বছর প্রলয় আসবে। এই বছর পৃথিবীর অক্ষ বদল করবে। এছাড়াও কুম্ভ রাশিতে শনির প্রবেশ ঘটবে। এর ফলে গোটা বিশ্বে আরও একটি বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হবে। যদিও এই যুদ্ধ শুরু হতে কিছুটা সময় লাগবে। একইসঙ্গে অনাহারও দেখা দেবে বিশ্বে। পাশাপাশি, একাধিক দেশে ভূমিকম্পও হবে।
আরও একজন ভারতীয় ঋষি, মহন্ত করসনদাস ২০২৩ সাল নিয়ে কয়েকটি ভয়ঙ্কর ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। বিশ্ব জুড়ে খরা ও অনাহারের উল্লেখ করেছিলেন তিনি। জানিয়েছিলেন, মানুষ অনাহারে মারা যাবে। এই পরিস্থিতি এড়াতে তিনি মানুষকে বেশি পরিমাণে ফসল চাষের পরামর্শ দিয়েছিলেন।
বিখ্যাত জ্যোতিষজ্ঞের কথা উঠলে নস্ট্রাডামুসের কথা আসবেই। তিনিও ২০২৩ নিয়ে খুশির কোনও খবর দিয়ে যাননি। তিনি বলেছিলেন, মানুষ এই বছর মঙ্গলগ্রহে পৌঁছবে। কিন্তু পৃথিবী আর বসবাসযোগ্য থাকবে না। একাধিক দেশ একে অপরের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। ফলে সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। এছাড়াও আকাশ থেকে আসা কোনও বড় উল্কাপিণ্ডও পৃথিবী ধ্বংস করে দিতে পারে।