বাংলা হান্ট ডেস্ক: উত্তর২৪পরগনাতে ট্রেড ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ পদ সামলেছেন বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ওরফে বাবাই বিশ্বাস। ২০১১সালে বাংলায় সিপিএমের থেকে তৃনমূলে আসার জন্য রাজারহাট গোপালপুরবিধানসভা,নিউটাউন বিধানসভা,ও দমদম বিধানসভা। এছাড়া বিধাননগর বিধানসভাতে বাবাই বিশ্বাসের প্রভাব রয়েছে। কিন্তু ভিআইপি রোডে যখন বাবাই বিশ্বাস তৃনমূলের ভিত শক্ত করছে সেই সময় তাকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হয় বলে দাবী তার অনুগামীদের৷
একসময় বাবাই বিশ্বাস যখন পৌর প্রতিনিধির দাবীদ্বার সেই সময় তৃনমূলের আরেক প্রভাবশালী নেতা বুড়ো কে প্রকাশে গুলি করে মারা হয়।তাতে নাম জড়ায় বাবাই বিশ্বাসের। অবশেষে দীর্ঘ সময় তাকে জেলে রাখা হয়। পরে বেকসুর খালাস করা হয়।
সেই নির্দোষ নেতা কে বিজেপিতে স্বাগত জানালেন বিজেপির রাজ্যে সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷ তার অফিসে তার হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন দিলীপ বাবু। বাবাই বিশ্বাসের সাথে ৫০০জন তৃনমুল কর্মীও এদিন যোগদান করে বিজেপিতে৷
সূত্রের খবর, আরও অনেক নেতা আগামী যোগদান করতে পারে। কারন একসময় দোলা ও পুর্নেন্দু বসুর সব থেকে কাছের লোক ছিলেন এই বাবাই বিশ্বাস৷ মনে করা হচ্ছে, আগামী বিধানসভাতে তারে গুরুদায়িত্ব দেবে বিজেপি কারন রাজারহাট-গোপালপুর, নিউটাউন,বিধাননগর,দমদম বিধানসভাতে তাকে কাজে লাগাবে৷ এমনতি রাজারহাট বিধানসভাতে ও বিধাননগরে অনেকটা এগিয়ে আছে লোকসভা ভোটের পরিপেক্ষিতে৷
এছাড়া নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত ও তৃনমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন।আর দমদম বিধানসভাতেও তৃনমুল ঘাড়ের কাছে নিশ্বাস ফেলছে বিজেপি। তাই বাবাই এর মতো নেতাকে দলে নিয়ে ৪বিধানসভাতেই জিততে চাইছে বিজেপি। এখন দেখার বিয়য় শেষ হাঁসি কে হাঁসে৷
সূত্রের খবর, তৃনমূলের কিছু যুব নেতা যারা বাবাই এর অফিসে কাজ করতো তারা বাবাই এর মতো এতো বড় নেতাকে অসম্মান করেছে। তাদের রাজনৈতিক ভাবে যোগ্য জবাব দেবে বলে বাবাই বিশ্বাসের অনুগামীদের দাবী।
আবহাওয়ার পারদ নিন্মমুখি হলেও রাজানীতির পারদ চড়তে শুরু করেছে বাংলায়।