বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: চলতি এশিয়া কাপের ফাইনালে পৌঁছলেও পাকিস্তানের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তুষ্ট নন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটাররা। তারা অনেকেই নিশানা করেছেন পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপের দিকে। কারণ চোট নিয়েও পাকিস্তানের বোলিং লাইন আপ যথেষ্ট ভালো পারফরম্যান্স করেছে, কিন্তু পাকিস্তানের ব্যাটাররা তাদের ডুবিয়েছে।
সদ্যসমাপ্ত এশিয়া কাপে পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপ একেবারেই ধারাবাহিকতা দেখাতে পারেনি। যে ব্যাটিং লাইনআপের শক্তিতে ভরপুর হয়ে পাকিস্তান গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতকে বিশ্রীভাবে হারিয়েছিল পৌঁছেছিল বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল অবধি, সেই ব্যাটিং লাইনআপই এশিয়া কাপের চূড়ান্ত ফ্লপ। মাত্র মোহাম্মদ রিজওয়ান শুধুমাত্র এই দলে ধারাবাহিকভাবে ভালো ব্যাটিং করে গিয়েছেন।
ভক্তরা সবচেয়ে বেশি আশ্চর্য হয়েছিল বাবর আজমের ফর্ম নিয়ে। তিনি টি-টোয়েন্টি ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে ছিলেন কিছুদিন আগেও। কিন্তু চলতি এশিয়া কাপে তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর ছিল মাত্র ৩০। বিশ্বকাপের আগে অধিনায়কের এই ফর্ম নিয়ে খুবই চিন্তিত পাকিস্তানের ক্রিকেটপ্রেমীরা।
কিছুদিন আগে বিরাট কোহলি যখন ব্যাট হাতে চূড়ান্ত খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন বাবর আজম টুইট করে তার পাশে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন যে এই খারাপ সময় কেটে যাবে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে বিরাট কোহলি যিনি এই টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচে শেষ ২৮ বলে যে রান করেছিলেন (৭১), বাবর আজম গোটা টুর্ণামেন্টে তত রান (৬ ম্যাচে ৬৮) করতে পারেননি। বিশ্বকাপের আগে পাক অধিনায়ক ফর্মে না ফিরলে খুবই সমস্যায় পড়বে গোটা পাকিস্তান দল।
বাবর আজমের অধিনায়কত্ব এবং তার ব্যাটিংয়ের ওপর আর অধিনায়কত্বের প্রভাব নিয়ে অনেকেই ইতিমধ্যে মুখ খুলেছেন যাদের মধ্যে সাম্প্রতিকতম উদাহরণ হলেন প্রাক্তন পাকিস্তানি উইকেট-রক্ষক কামরান আকমল। তিনি বলেছেন, “বাবরকে আমি একবার বলেছিলাম যে এখন তোমার জন্য অধিনায়কত্ব করাটা সঠিক সিদ্ধান্ত না। আগে দু-তিন বছর দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করো। নিজের লেভেলটা বিরাট কোহলির লেভেলে তুলে নিয়ে যাও। তারপর তোমার অধিনায়ক হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না। কিন্তু এটা সঠিক সময়ে নয়। ও আমার কথা শোনেনি। এখন আমরা দেখছি যে ও কিছুটা স্ট্রাগল করছে।”
আকমল এই কথা বললেও পরিসংখ্যান বলছে যে ২৯ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয় নিয়ে বাবর আজম পাকিস্তানের ইতিহাসের সবচেয়ে সফল ছোট ফরম্যাটের অধিনায়ক। আকমল তাও মনে করেন দু’বছর আগে দুই হাজার কুড়ি সালে অধিনায়কত্ব পাওয়ার ব্যাপারে বাবর একটু তাড়াহুড়ো করে ফেলেছে।