বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সাম্প্রতিককালে স্কুল সার্ভিস কমিশন নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় সরগরম হয়ে পড়েছে বঙ্গ রাজনীতি। এসএসসি নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীকেও সিবিআই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়। এছাড়াও পরবর্তীকালে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি থেকে বরখাস্ত হতে হয় মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীকে। সম্পূর্ণ ঘটনায় বর্তমানে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে রাজ্য শাসকদলের। তবে এসকল ঘটনা শুরু হয়েছে যার দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে, সেই ববিতা সরকার বর্তমানে নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। নেপথ্যে কারণ কি?
এসএসসি চাকরিপ্রার্থী ববিতা সরকারের দাবি, বাড়ি থেকে কোথাও বের হতে গেলেই বহু মানুষ সাবধানে থাকতে বলছে। এমনকি অনেকে ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করছেন আর সকলের এহেন মন্তব্য মাঝেই তাঁর চিন্তা ক্রমশ বেড়ে চলেছে বলে জানান ববিতা।
প্রসঙ্গত, ববিতা সরকারের দায়ের করা মামলার ভিত্তিতেই এসএসসি সংক্রান্ত দুর্নীতির অভিযোগ প্রথম সকলের নজরে আসে। এরপরে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া থেকে শুরু করে একাধিক তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং পরবর্তীতে মন্ত্রীকন্যাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা ববিতা সরকারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। বর্তমানে সেই সকল রিপোর্ট আদালতে জমা করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। এর মাঝেই গভীর চিন্তায় পড়েছেন মামলাকারিণী।
বর্তমানে স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে শিলিগুড়িতে রয়েছেন ববিতা। তিনি বলেন, “এখনো পর্যন্ত আমি কোন রকম হুমকি পাইনি। তবে আশেপাশের মানুষ যেভাবে আমাকে সতর্ক করে চলেছে, তাতেই বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছি। যদিও তৃণমূল মন্ত্রী কিংবা তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে আমার কোনো রকম অভিযোগ নেই। এমনকি গোটা ঘটনায় আমি ভীত হয়েও পড়িনি। তবে মানুষের কথায় একটু চিন্তা তো হয়ই।”
এদিন ববিতা সরকারের মন্তব্যে তাঁর চাকরি পাওয়ার প্রসঙ্গ সহ পুলিশের প্রশংসাও উঠে আসে। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগেই কলকাতা যাওয়ার মুহূর্তে এক মহিলা পুলিশকর্মী দ্বারা আমি একা রয়েছে কিনা, তা জিজ্ঞাসা করা হয়। ফলে পুলিশের সহায়তায় আমি খুশি। তবে এখনো পর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশনের পক্ষ থেকে নিয়োগ সংক্রান্ত কোনো বার্তা আমার কাছে আসেনি। ফলে আদৌ আমার চাকরি হবে কিনা, সে নিয়ে ভেবে চলেছি।”