বাংলাহান্ট ডেস্ক: এসএসসি দুর্নীতি মামলা (SSC Recruitment Scam) একের পর এক নয়া মোড় নিচ্ছে। মন্ত্রীকন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর থেকে স্কুলের চাকরিটি পেয়েছিলেন ববিতা সরকার। কিন্তু এখন হঠাতই প্রশ্ন উঠেছে, তবে কি তিনিও চাকরি হারাবেন? সম্প্রতি ববিতার চাকরির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে আদালতে। কিন্তু বৃহস্পতিবার এ নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি কলকাতা হাই কোর্ট।
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ববিতাকে বলেন, অঙ্কিতা অধিকারীর বেতনের টাকা যেন তিনি সরিয়ে রাখেন। কারণ ভবিষ্যতে তা ফেরতও দিতে হতে পারে। ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন শিলিগুড়ির ববিতার চাকরি বাতিলের দাবিতে আদালতের দারস্থ হন অনামিকা রায়। তিনি শিলিগুড়িরই বাসিন্দা এবং আরও এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে।
এ প্রসঙ্গে এখনই কোনও নির্দেশ দেয়নি কলকাতা হাই কোর্ট। তার বদলে আগামী ৯ জানুয়ারি শুনানির তারিখ দিয়েছেন বিচারপতি। গত সোম ও মঙ্গলবার আদালতের দারস্থ হয়েছিল ববিতা ও অনামিকা। ববিতা তাঁর পাওয়া চাকরি নিয়ে ওঠা বিতর্কে আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন। অন্যদিকে, অনামিকার আবেদন ছিল, ববিতার চাকরি বাতিল হয়ে তিনি সেটি পান। তাঁর দাবি, তিনিই ওই চাকরির যোগ্য প্রার্থী।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি ছবি ভাইরাল হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, ববিতার এসএসসি-র আবেদনপত্র। সেখানে তাঁর অ্যাকাডেমিক স্কোর অনেকটাই বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনটাই দাবি করেছেন অনামিকা। ছবির আবেদনপত্র অনুযায়ী, স্নাতক স্তরে ৮০০ নম্বরের মধ্যে ৪৪০ নম্বর পেয়েছিলেন ববিতা। অর্থাৎ ৫৫ শতাংশ নম্বর ছিল তাঁর। কিন্তু আবেদনপত্রে সেই নম্বরের শতকরা হিসেবে লেখা রয়েছে ৬০ শতাংশ। যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি বাংলাহান্ট।
ববিতার পাল্টা যুক্তি, উচ্চ মাধ্যমিকে তিনি ৬০ শতাংশ নম্বর পেয়েছিলেন। ভুলবশত হয়তো স্নাতক স্তরের নম্বরের জায়গাতেও ৬০ শতাংশ ব্র্যাকেটে টিক দিয়ে ফেলেছিলেন তিনি। ভেরিফিকেশনের সময় এই ভ্রান্তি লক্ষ্য করেনি পর্ষদ। তাহলে এই সমস্যা হত না। বৃহস্পতিবার আদালত ববিতাকে বলে, অঙ্কিতার থেকে পাওয়া সমস্ত অর্থ জোগাড় করে রাখতে। এর জন্য পৃথক একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও খুলতে পারেন। আগামীদিনে চাকরি খোয়ালে ওই টাকা হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে ফেরত দিতে হবে।