‘টাকাটা ভাল কাজে ব্যবহার করবো’, আদালতের নির্দেশের পর আবেগঘন হয়ে বললেন ববিতা সরকার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এদিন কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে অবশেষে অঙ্কিতা অধিকারীর স্থানে শিক্ষকতার চাকরি পেলেন ববিতা সরকার। শুধু তাই নয়, বর্তমান শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যার পাওয়া সকল সুযোগ সুবিধা সহ ববিতাকে 43 মাসের বেতন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আদালত আর এই রায় ঘোষণা হওয়ার পরেই একপ্রকার কেঁদে ফেললেন মামলাকারিণী ববিতা সরকার। পরবর্তীতে কান্না থামিয়ে তিনি জানান, “এই টাকা পাওয়ার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। তবে এটা শুধুমাত্র নিজের জন্য নয়, কিভাবে এটি কোন ভালো কাজে লাগানো যায়, সেটা ভেবে দেখব।”

এদিন আদালতের রায়ের পর স্বভাবতই হাসিখুশি মেজাজেই দেখা যায় ববিতাকে। ভিক্টরি সাইন দেখানোর পাশাপাশি স্বামীর প্রশংসা করতেও দেখা যায় তাঁকে। স্বামীকে পাশে নিয়েই ববিতাদেবী জানান, “ও আমার পাশে সব সময় থেকেছে, এই জন্যই আমি এতটা পথ এগোতে পেরেছি। ওকে ধন্যবাদ।”

যদিও চার বছর ধরে স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি না করে বর্তমানে পুরো বেতন পেতে চলেছেন তিনি, এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে ববিতা সরকার জানান, “সময় তো আর ফেরত আসে না। গত চার বছর ধরে আমি একটা মাত্র স্বপ্ন দেখেছি যে, স্কুলে আমি পড়াচ্ছি। কিন্তু সেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে রোজ। তারপরে আজকের দিনটা যে দেখতে পাব, সেটা কখনো আশা করিনি। তবে লড়াই চালিয়ে গিয়েছি আর বর্তমানে আদালতের এই নির্দেশে আমার লড়াইয়েই  জয় হয়েছে।” এছাড়াও গত চার বছর ধরে সময় নষ্ট প্রসঙ্গেও আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি।

babita ankita justice

উল্লেখ্য, ববিতা সরকারের মামলার ভিত্তিতেই সর্বপ্রথম কলকাতা হাইকোর্টে এই মামলাটি ওঠে। প্রসঙ্গত, 2016 সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন পরীক্ষায় বসেন ববিতা। পরবর্তীকালে মেধা তালিকায় সবার প্রথমে নামও থাকে ববিতা সরকারের। কিন্তু সেই তালিকায় নাম থাকা সত্বেও তার স্থানে চাকরি দেওয়া হয় পরেশ অধিকারী কন্যাকে। এরপরেই চাকরির ক্ষেত্রে এই বেনিয়মটিকে কলকাতা হাইকোর্টের নজরে আনেন তিনি। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে মামলাটির শুনানি চলার পর অবশেষে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এবং একইসঙ্গে সকল বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। আর এদিন তার স্থানে ববিতাদেবীকে চাকরি সহ সমস্ত বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।


Sayan Das

সম্পর্কিত খবর