বাংলাহান্ট ডেস্ক : আগামী সোমবার শিক্ষিকা পদের জন্য সুপারিশ পত্র পাবেন ববিতা সরকার। সোমবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে ববিতাকে। চার বছরের অদম্য লড়াই। দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে যাওয়া নিজের প্রাপ্যটুকু বুঝে নেওয়ার জন্য। অবশেষে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এসেছে। মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে শিক্ষিকার চাকরি থেকে বহিস্কৃত হয়েছেন মন্ত্রীকন্যা।
মন্ত্রী কন্যাকে চাকরি থেকে বহিষ্কার এর সাথে সাথে এতদিন পর্যন্ত পাওয়া বেতনের টাকাও হাইকোর্ট ফেরত দিতে বলে। হাইকোর্টের নির্দেশ মতো এখনো পর্যন্ত সাত লক্ষ টাকার কাছাকাছি বেতন ফেরত দিয়েছেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে। হাইকোর্ট জানিয়েছে এই টাকাও সম্পূর্ণভাবে তুলে দেওয়া হবে ববিতার হাতে। যা এক প্রকার দৃষ্টান্তমূলক ভাবে দেখছেন সমাজের একাংশ।
হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের শিক্ষিকা পদের জন্য সুপারিশ দেবে কমিশন। আগামী ২৭ শে জুনের মধ্যে ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলের জন্য সুপারিশ পত্র দিতে বলে কমিশন।হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মন্ত্রী কন্যা অঙ্কিতা অধিকারী বদলে সেই চাকরি দিতে বলেন ববিতা সরকারকে।সোমবার দুপুর ১ টা নাগাদ কমিশনের অফিসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে ববিতাকে। সাথে আনতে বলা হয়েছে ১০ কপি ছবি।
ববিতা সরকারের আইনজীবী ফিরদৌস শামীম জানাম, “মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ২৭শে জুনের মধ্যে ববিতার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে চায় কমিশন। তার আগে শনি ও রবিবার দুইদিন ছুটির দিন থাকায় কমিশনের আইনজীবী সরাসরি আমাদের সাথে যোগাযোগ করেন। তিনি সোমবার দুপুরের মধ্যেই কমিশন অফিসে হাজির হওয়ার জন্য বলেন।”
এই সিদ্ধান্তে স্বভাবত খুব খুশি ববিতা সরকার। তিনি জানিয়েছেন, “আমার বহুদিনের স্বপ্ন সত্যি হতে চলেছে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর এই জয় আমি পেয়েছি। সোমবার আমরা কমিশন অফিস যাব।”হবু চাকরির ক্ষেত্র ইন্দিরা গার্লস হাই স্কুলের উদ্দেশ্য তার বার্তা, “রাষ্ট্রবিজ্ঞান পড়ার প্রয়োজনীয়তা প্রথমেই ছাত্রীদের বোঝাবো। একজন নাগরিক হিসেবে সংবিধানকে জানা খুবই জরুরী।” ববিতা ও তার স্বামী পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, হাইকোর্টের নির্দেশে পাওয়া টাকা তাঁরা কোনও সামাজিক কাজে ব্যবহার করবেন।
ববিতার কথায়, কাজ না করে পারিশ্রমিক নেওয়াটা উচিৎ নয়। ওই টাকা সমাজের কোনও ভালো কাজেই ব্যবহার করব। ব্যক্তিগত কারণে সেখান থেকে এক পয়সাও খরচ করব না।