বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাবরি মসজিদ বিধ্বস্ত মামলায় সিবিআই এর বিশেষ আদালত নিজেদের রায় শুনিয়ে দিয়েছে। বুধবার এলকে আডবানি, মুরলী মনোহর জোশি, উমা ভারতী সমেত মোট ৩২ জন অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করা হয়েছে। আদালতের এই রায়ে AIMIM (All India Majlis-e-Ittehadul Muslimeen) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়াইসি (Asaduddin Owaisi) প্রশ্ন তুলেছেন। ওয়াইসি বলেন, সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত মেনে নিয়েছিল যে, বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল। কিন্তু আজ যেই রায় ঘোষণা হল, সেটা শুনে বলাই যায় যে আজকের সিদ্ধান্তকে কালা দিবস হিসেবেই দেখা হবে।
হায়দ্রাবাদের সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেন, কোনও জাদু মন্ত্র করে মূর্তি রাখা হয়েছিল কি? জাদু মন্ত্র করে তালা খোলা হয়েছিল? আর জাদুর কারণেই কি মসজিদ ভেঙে গিয়েছিল? উনি বলেন, আদালতের এই সিদ্ধান্ত দেশের জন্য কালা দিবস। যেখান দিয়ে এলকে আডবানির রথ যাত্রা গিয়েছিল, সেখানেই রক্তারক্তি হয়েছিল। এতমাস ধরে যখন প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল, তখন এই কাণ্ড আচমকা কি করে হয়ে গেল?
https://twitter.com/aimim_national/status/1311223042740072448
AIMIM সাংসদ বলেন, যখন বাবরি মসজিদ ভাঙা হয়েছিল, তখন মানুষের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করা হয়েছিল। ওয়াইসি অভিযোগ করে বলেন, উমা ভারতী স্লোগান দিয়েছিলেন, ‘এক ধাক্কা অউর দো, বাবরি মসজিদ তোড় দো।”
ওয়াইসি বলেন, এই মামলায় মুসলিমরা ন্যায় পায় নি। সিবিআই এর চার্জশিটে বলা হয়েছে যে, কল্যাণ সিং বলেছিলেন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে, বাবরি ভাঙতে না। ওয়াইসি অভিযোগ করে বলেন, ৫ ডিসেম্বরের রাতে বিনয় কাটিয়ারের বাড়িতে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে লালকৃষ্ণ আদবানিও ছিলেন।
উনি বলেন, এক অভিযুক্ত আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে বিধ্বস্ত করার কথা স্বীকার করছে, আরেকদিকে আদালত তাকে বেকসুর খালাস করছে। আপনাদের জানিয়ে দিই, গত বছর নভেম্বর মাসে যখন সুপ্রিম কোর্ট বাবরি মামলার রায় দিয়ে বিতর্কিত জমি রামলালার হাতে তুলে দিয়েছিল, তখনও ওয়াইসি বিরোধিতা করেছিলেন।