বাংলা হান্ট ডেস্ক: ফের একবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করলেন বাবুল সুপ্রিয়। তিনি বললেন কয়লা মাফিয়াদের টাকা নাকি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই যায়। এদিন BJP সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় মন্তব্য করে বলেন, “আমি সত্যিই বলেছি। এখানে সবাই জানেন, কোন কোন তৃণমূল নেতা কয়লা মাফিয়াদের থেকে টাকা তোলেন। সেই টাকা কার কাছে যায়। আমি আগেও একই কথা বলেছিলাম। আমার বিরুদ্ধে মানহানি মামলা হয়েছিল। সত্যিটা আমি সবসময় বলব। আরও একটি মানহানি মামলা করলে করুক, এসে যায় না।”
উল্লেখ্য, সম্প্রতি যাদবপুর ইস্যু নিয়ে রীতিমতো জল ঘোলা হয়েছে বাবুল সুপ্রিয় কে নিয়ে। দুতরফা তথ্য উঠে আসছে প্রতিনিয়ত। কেউ বলছেন বাবুল সুপ্রিয় দোষী আবার কেউ বলছেন যাদবপুর ইউনিভার্সিটির ছাত্র-ছাত্রীর দোষী। সম্প্রতি এবার যাদবপুর ইস্যু নিয়ে মুখ খুললেন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।
যাদবপুর ইস্যু নিয়ে বাবুল মন্তব্য করে বলেন, “যাদবপুর কাণ্ড নিয়ে মিথ্যাচার চলছে। যাকে বলা হচ্ছিল নারী, পরে দেখা যাচ্ছে তার গালেই দাড়ি। যাকে বলা হচ্ছে আমি কনুই দিয়ে মেরেছি, দেখছি সেই আমার জামা ছিঁড়ে দিচ্ছে। যার গেঞ্জি টেনে আমি হেনস্থা করেছি বলে অভিযোগ উঠছে দেখা যাচ্ছে আমি তাকে ডেকে বোঝাচ্ছি, বুদ্ধদেববাবু এত ভদ্র নেতা, এটা তোমরা কী করছ?”
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। ABVP আয়োজিত ছাত্রদের একটি নবীন বরণ অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় সেখানে আসেন। সেখানে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন বাবুল। শুধু তাই নয় তার সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান পড়ুয়ারাও। এমনকি দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগান পর্যন্ত।
আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবিভিপির একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন। তখন তাকে ঘেরাও করেন পড়ুয়ারা এমনকি বিক্ষোভ দেখানোও শুরু করেন তারা। ঘটনাচক্রে যাদবপুরে পড়ুয়ারা চেঁচামেচি করেন যে কোনমতেই বাবুলকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বাবুলকে ঢুকতে দেওয়া হবে না যাদবপুর ক্যাম্পাসে। শুধু তাই নয় বাবুলের চুল জামা ধরে টানাটানি শুরু করেন সকলে। ‘বাবুল গো ব্যাক’ স্লোগান ওঠে। ধাক্কাধাক্কিতে বাবুল একবার পড়েও যান।
ঘটনাচক্রে পরিস্থিতি এমনই অপ্রীতিকর হয়ে উঠেছে সেখানে হাজির হন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। তিনি বাবুলকে তাঁর ঘরে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু আসানসোলের সংসদ স্পষ্ট জানিয়ে দেন যে তিনি যে কাজের জন্য এসেছেন তা পূরণ করবেনই। এবিভিপির নবীন বরণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন বিজেপির এই নেতা। সংগঠকরা দাবি জানিয়েছেন যে একজন সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেই বাবুলকে এদিন আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল যাদবপুর ইউনিভার্সিটি তে। পরে উপাচার্যের মধ্যস্থতায় সভামঞ্চে পৌঁছন বাবুল।
এই ঘটনায় এসএফআই দাবি জানিয়েছে তারা প্রথমে বাবুলকে বাধা দেয়নি। বিজেপির নীতির বিরুদ্ধে তাদের মূল অভিযোগ। তারা দাবি করেছেন যে বাবুল ভিড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে তাঁর গায়ে হাত তোলার মিথ্যে অভিযোগ আনেন।’ যাদবপুর ছাত্রদের আর একাংশের দাবি দাবি, ধাক্কাধাক্কি চলাকালীন বাবুলের নিরাপত্তারক্ষীরা ছাত্রীদের গায়ে হাত দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে যাদবপুর ক্যাম্পাসে ঢুকতে আটকাতে বাধ্য হন এসএফআই সহ এবিভিপির বিরোধী ছাত্র সংগঠনগুলি।