‘তালিবানি রাজ চলছে, মোদী যেন…’, মাফিয়া আতিক খুনে বিস্ফোরক বাবুল সুপ্রিয়

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজে পুলিসের ঘেরাটোপের মধ্যেই এনকাউন্টারে খুন হয় মাফিয়া থেকে রাজনীতিবীদ হয়ে ওঠা আতিক আহমেদ (Atiq Ahmed) ও তাঁর ভাই আশরাফ। যেই ঘটনা ঘিরে গতকাল থেকেই উত্তাল গোটা দেশ। চড়েছে রাজনীতির পারদ। এরই মধ্যে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। শাসকদলের মন্ত্রীর অভিযোগ, যোগী পুলিশই দুষ্কৃতীদের সুযোগ করে দিয়েছিল আতিককে মারার জন্য।

গতকালের ভয়াবহ এনকাউন্টার প্রসঙ্গে এক টুইট বার্তায় বাবুল লেখেন, ‘ঘটনার ভিডিয়ো থেকে এটা স্পষ্ট যে ইউপি পুলিশ ৩ জন আততায়ীকে তাদের পূর্বপরিকল্পিত হত্যা সম্পন্ন করার জন্য সুযোগ করে দিয়েছে – ‘অভিযুক্ত’ (আতিক ও আশরাফ) পুলিশ হেফাজতে থাকা সত্ত্বেও তাদের বাঁচাতে পুলিশকর্মীদের কেউই হামলাকারীদের ওপর গুলি চালাননি।”

এরপর অন্য একটি টুইটে তিনি লেখেন, “কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন না, তা সে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ হোক কি মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। যদি মাফিয়াদের বিরুদ্ধেও হয়, আইন আইনের পথে চলা উচিত। তবে তালিবানি রাজ চলছে। প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এই আইএস কায়দায় হত্যাকাণ্ড পূর্বপরিকল্পিত ছিল। এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া উচিত প্রধানমন্ত্রী মোদীর।”

babul 6

শুধু বাবুলই নন, মাফিয়া হত্যার ঘটনায় বিজেপি সহ যোগী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছে আসাদউদ্দিন ওয়াইসি, অখিলেশ যাদব, জয়ন্ত চৌধুরী, তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির প্রসঙ্গ তুলে প্রশ্ন করেছেন কুণাল ঘোষ। শনিবার রাতেই হন্যে হয়ে খুনিদের খোঁজ চলেছে। জানা গিয়েছে, সানি, লাভলেশ, অরুণ, এই তিন আততায়ীকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের এখনও জেরা করা হয়নি বলেই জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল দুষ্কৃতীরা।

গতকাল ঠিক কী ঘটেছিল? গ্যাংস্টার থেকে নেতা হয়ে ওঠা আতিক ও তাঁর ভাই জেলবন্দি ছিলেন। শনিবার প্রয়াগরাজের এক হাসপাতালে তাদের ২ জনকে নিয়ে আসা হচ্ছিল মেডিক্যাল টেস্ট করার জন্য। পথেই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তাঁরা। দুজনকেই একের পর এক প্রশ্ন করছিলেন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। ছেলে হারানোর শোকে কাতর বাবা তাঁদের প্রশ্নের উত্তরও দিচ্ছিলেন।

হাত বাঁধা অবস্থায় দুই বন্দিকে ভিড় ঠেলে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিস। সেই সময়েই মিডিয়া, পুলিশ সকলের চোখের সামনে ঘটে গেল ভয়ংকর ঘটনা। চলল গুলির পর গুলি। একজন এসে ফিল্মি কায়দায় মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে আতিককে খুন করে। পরক্ষনেই আতিকের ভাই কেউ অন্য একজন গুলি করে পালিয়ে যায়। গুলি করার পর ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দেওয়া হয় বলেও দাবি করেন ঘটনাস্থলে থাকা আতিকের আইনজীবী। গোটা এই খুনের ঘটনা লাইভ সম্প্রচারিত হয় টিভিতে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর