আকাশ ভেঙে পড়ল মাথায়! স্বজনহারা মন্ত্রী, প্রিয়জনকে হারিয়ে শোকে বিহ্বল বাবুল সুপ্রিয়

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শোকের আবহ যেন কিছুতেই কাটছে না বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo) ঘরে। বছর দুয়েক আগেই অতিমারী করোনার কাছে হার মেনে ছিলেন বাবুল সুপ্রিয়র মা। তারপর একের পর এক নিকট আত্মীয়ের মৃত্যুতে রীতিমতো বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন এই বিখ্যাত গায়ক (Singer)। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার অমৃতলোকের উদ্দেশ্যে পাড়ি দিলেন বাবুল সুপ্রিয়র পিসি। পিসির মৃত্যুতে যারপরনাই মুহ্যমান হয়ে পড়েছেন তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী ।

ইতিমধ্যেই, পরিবারের বাকীদের প্রতি পিসির (Aunt) ব্যবহার এবং বাবুলের ছোটবেলা জুড়ে পিসি যে কতখানি ছিলেন, সেকথা উল্লেখ করেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেছেন তৃণমূলের এই গায়ক নেতা। পাশাপাশি, পরিবারের প্রতি কর্তব্য, তার বাবা-মায়ের প্রতি বাবুলের পিসির অগাধ দায়িত্বের কথাও তুলে ধরেছেন বাবুল। পিসির উদ্দেশ্যে করা ফেসবুকের এই পোস্টে উঠে এসেছে বাবুলের ছোটবেলার কথাও।

পাশাপাশি, পিসির সঙ্গে কাটানো মুহূর্তের ছবিও নেটিজেনদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন বাবুল। ফেসবুকের এই দীর্ঘ পোস্টে তিনি লেখেন, “তার চেয়ে ভালো লুচি-আলুরদম কেউ করেনি – ছোটবেলা থেকে যখন আমি ইডেন গার্ডেনে ম্যাচ দেখতে যেতাম তখন আমার স্ট্যান্ডার্ড টিফিন.. তাকে এবং তার হাসিকে খুব মিস করব..” পিসির স্মৃতিচারণার পাশাপাশি বাবুল সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘মৃত্যু’কে নিয়ে জীবনদর্শনের কথাও উল্লেখ করেন।

Babul

বাবুলের কথায়, “পঞ্চাশ পেরিয়ে যাওয়া মানেই মৃত্যুর দিকে এগোনো..” তিনি আরোও বলেন, “কখনও অভিযোগ করিনি বরং জীবনের অনেক প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েও সেগুলোকে কাটিয়ে উঠতে পেরে এবং এগিয়ে যেতে পেরে সবসময় গর্বিত হয়েছি”। তবুও, আক্ষেপ করেই বাবুল বলেছেন, “আপনি যাকে ভালোবাসেন তার মৃত্যু একটি ফুল স্টপের মত”। এমনকি, সময় পেরিয়ে গেলেও সেই যন্ত্রণার খুব একটা উপশম হয় না বলেও উল্লেখ করেন বাবুল।

 


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর