বিরোধিতা বাদ দিয়ে জিতেন্দ্রর প্রশংসা বাবুলের গলায়, শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বর্ষশেষে বিবাদ ভুলে জিতেন্দ্র তিওয়ারির (Jitendra Tiwari) প্রশংসা করলেন বাবুল সুপ্রিয়র (Babul Supriyo)। পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালে বিজেপির ”আর নয় অন্যায়” কর্মসূচীতে বর্ষশেষের দিন যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাবুল সুপ্রিয়। সেখানে দাঁড়িয়েই কিছুটা প্রশংসার সুর তুললেন জিতেন্দ্র তিওয়ারির নামে।

সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময় জিতেন্দ্র তিওয়ারি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিতে চাইলে, সেই পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বিজেপিতে নাম লেখাতে দেননি তিনি। দলীয় সদস্যের অসন্তুষ্টির কারণে জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বিজেপিতে স্বাগত জানানো হয়নি। অগত্যা আবারও ফিরে যান সেই তৃণমূল শিবিরেই।

131056 ialxfrcuye 1573917553

বর্ষশেষের দিন অর্থাৎ পশ্চিম বর্ধমানের অন্ডালের কর্মসূচীতে উপস্থিত হন আসানসোলের বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। খাঁন্দরায় দলীয় কর্মসূচিতে যাওয়ার পথে সবুজ সমিতির মাঠে কচিকাঁচাদের ক্রিকেট প্রশিক্ষণ চলতে দেখে গাড়ি থেকে নেমে মাঠে উপস্থিত হন। সেখানেই বাচ্চাদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটিয়ে ব্যাটও হাতে তুলে নেনে বাবুল সুপ্রিয়।

কর্মসূচী থেকে তাঁর গলায় শোনা যায়, ‘গত ১০ বছরে তৃণমূল আমলে আসানসোলের কোন উন্নতি হয়নি। এখানে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অনেক কাজ করতে দেয়নি। তবে তৃণমূল নেতাদের জীবনযাপনে কিন্তু বেশ উন্নতি হয়েছে। এখন আমরা এই কথা বলতে গেলে বলবে, আমরা মিথ্যা অভিযোগ করছি। আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারি দেরীতে হলেও এই কথাগুলো স্বীকার করেছেন দেখে ভালো লাগল। তাঁর মন্তব্যই এখানকার অবন্নতির কথা প্রমাণ করে দিয়েছে’।

এরপরই শাসক দলের নেতারা বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বলে কটাক্ষ করে বলেন, ‘আলিপুর সংশোধনাগারে অনেক শখ করে রাজ্য সরকার নীল-সাদা রং করেছে। ভোটের পর ওটাই দেখবেন তৃণমূলের পার্টি অফিস হবে, ওখানেই সবাই থাকবে’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর