বাংলাহান্ট ডেস্ক: ক্রিসমাসের ঠিক আগে আগে ‘দিদি নাম্বার ওয়ান’এ বসেছিল চাঁদের হাট। একই সঙ্গে মদন মিত্র, বাবুল সুপ্রিয় (babul supriyo), রাঘব চট্টোপাধ্যায় ও শিবাজি চট্টোপাধ্যায়রা এসেছিলেন রচনার সঙ্গে খেলতে। তাও আবার একা নয়, জুটিতে। দীর্ঘ দাম্পত্য জীবনের সঙ্গীদের হাত ধরে এক সন্ধ্যার জন্য সময় বার করে দিদি নাম্বার ওয়ান খেলতে এসেছিলেন তাঁরা।
বলা বাহুল্য, আসর জমতে দেরি হয়নি। তারকা বিধায়ক মদন মিত্র একাই আসর জমানোর অর্ধেক কৃতিত্ব নিয়ে নিয়েছিলেন। এদিন কোনো গুরুগম্ভীর রাজনৈতিক কথা নয়, বরং সকলে মিলে মেতে উঠেছিলেন মজাদার খেলা, আড্ডা, গানে। দীর্ঘদিনের সঙ্গী অর্ধাঙ্গিনী অর্চনা মিত্রকে নিয়ে প্রথম বার খেলতে এসেছিলেন মদন মিত্র। জানিয়েছেন তাঁর প্রেম কাহিনি।
বাদ যাননি বাবুল সুপ্রিয়ও। মজার ব্যাপার, তাঁর স্ত্রীর নামও রচনা। সঞ্চালিকা রচনাকে বাবুল জানান, তাঁকে এতটাই পছন্দ ছিল যে খুঁজে খুঁজে রচনা নামের মেয়েকেই বিয়ে করেছেন তিনি। তাঁদের প্রথম দেখা হওয়ার কাহিনিটাও কিন্তু কম চমকপ্রদ না।
পেশায় বিমানসেবিকা ছিলেন রচনা শর্মা। এক বিমান যাত্রার সময়েই তাঁর সঙ্গে আলাপ বাবুলের। প্রথম দেখাতেই গায়ক রাজনীতিবিদের বেশ মনে ধরেছিল রচনাকে। কিন্তু যেই তিনি বেল বাজিয়ে কফি চান তখন অন্য একজন কফি নিয়ে আসে। প্রথম বারে হল না। দ্বিতীয় বারে রচনাই কফি নিয়ে আসেন বাবুলের জন্য। তখনি সুযোগ বুঝে নম্বর চেয়ে নেন বাবুল। একটি কাগজ আর পেন এগিয়ে দিয়ে বলেন নম্বরটা লিখে দিতে।
বাবুলের কথা মতো নম্বর লিখেও দিয়েছিলেন রচনা। কিন্তু বাবুলের চোখকে ফাঁকি দিতে পারেননি তিনি। সঙ্গে সঙ্গে ওই নম্বরটি কেটে দিয়ে গায়ক বলেন, এবার আসল নম্বরটা দিতে। ব্যস, ওতেই মন গলে যায় রচনার। তারপর থেকে নাকি রোজ সকালে মেসেজে গান লিখে পাঠাতেন বাবুল। আর সব গানে ‘রচনা’ ঢুকিয়ে দিতেন। ২০১৬ তে বিয়ে করেন দুজনে। পাঁচ বছরে এতটুকুও কমেনি ভালবাসা। এখনো তিনি যেখানেই যান স্ত্রী আর মেয়েকে সঙ্গে করে নিয়ে যান।