বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সঙ্গীত জগতের এক স্বনামধন্য গায়ক হওয়ার পর যোগ দিয়েছিলেন রাজনীতিতে। হাত ধরেছিলেন বিজেপির। দীর্ঘ ৭ বছর ধরে বিজেপির মন্ত্রীত্ব সামলেছেন বাবুল সুপ্রিয় (Babul Supriyo)। হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় পূর্তমন্ত্রীও।
তবে গত বিধানসভায় বিধায়ক পদে তাঁকে দাঁড় করানোর পর, বিরোধীপক্ষের কাছে বেশ ব্যবধানে পরাজিত হন বাবুল সুপ্রিয়। এরপর পূর্ণ মন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখলেও, তাঁকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। বাড়তে থাকে দলের সঙ্গে দূরত্ব।
এরপর একদিন হঠাৎ স্যোশাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্ট করে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করার বিষয়ে জানান বাবুল সুপ্রিয়। তারপর শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনার পর মত বদল করলেও, তা বেশিদিন স্থায়ী হয় না।
আচমকাই বিজেপি শিবিরকে ধাক্কা দিয়ে হাতে তুলে নিলেন তৃণমূলের দলীয় পতাকা। যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী, অভিষেক ব্যানার্জী এবং তৃণমূল শিবিরকে দিনের পর দিন কটাক্ষ করেছেন, আক্রমণ করেছেন, আজ তারাই তাঁর জীবনের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন সেই তৃণমূলই বাবুলের পরম আশ্রয়।
পরম আশ্রয়ে যোগ দিলেও, বাবুলকে আদৌও গুরুত্ব দিচ্ছে কিনা তৃণমূল, এখন সেই বিষয় নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কারণ, আগামী ৩০ শে অক্টোবর রাজ্যের ৪ কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। সম্প্রতি উপনির্বাচনের জন্য তারকা প্রচারকদের তালিকা কমিশনে জমা দিয়েছে তৃণমূল শিবির। আর এই তালিকা দেখেই চক্ষুচড়ক গাছ নেটিজনদের।
তালিকায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে পার্থ চট্টোপাধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত বক্সী, ফিরহাদ হাকিম, কুণাল ঘোষ, মিমি চক্রবর্তী, সায়নী ঘোষ স্থান পেলেও, নেই বাবুল সুপ্রিয়, নুসরত জাহানের নাম। আর এই বিষয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তৃণমূলে নাম লেখালেও বাবুলকে কি তাহলে গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল?
বিশ্লেষকদের মতে, বাবুলের সাংসদ পদ এখনও খারিজ হয়নি। তাই যতক্ষণ না পর্যন্ত তিনি ইস্তফা পত্র জমা দিচ্ছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত হয়ত তিনি প্রচারে অংশ নিচ্ছেন না। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে নুসরত এবং বাবুলের নাম থাকার বিষয়ে কোন মন্তব্য করা হয়নি।