বাংলা হান্ট ডেস্ক : কেমন যেন উলটো সুর বাবুল সুপ্রিয়োর (Babul Sipriyo) গলায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে টালিগঞ্জে বিজেপির (BJP) টিকিটে প্রার্থী হন। কিন্তু হেরে যান। তারপর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয় একদা বিজেপি সাংসদের। কিছুদিন পরই বিজেপি ছেড়ে, তৃণমূলের (TMC) যোগ দেন। পরে তৃণমূলের টিকিটে জিতে মন্ত্রী হন। রাজ্যের সেই মন্ত্রীই আজ হঠাৎ স্মৃতি মেদুর (Babul Supriyo Nostalgia on Khola Hawa) হয়ে পড়লেন!
আজ রবিবার সকালে বাবুল একটা টুইট পোস্ট করেন। সেই টুইট ঘিরেই শুরু হয় নানান জল্পনা। রবিবার স্মৃতির পাতাশ চড়ে পৌঁছে যান সেই সময়ে, যখন তিনি বিজেপিতে ছিলেন। বাবুল বিজেপিতে থাকাকালীন কত কিছু করেছেন সেটাই এদিনের টুইটের মাধ্যমে তুলে ধরেন। এদিন বাবুল টুইটে একটি প্রতিবেদনের স্ক্রিনশট শেয়ার করেন। সেখানে দেখা লেখা রয়েছে, ‘খোলা হাওয়া’ নামে বিজেপির এক সাংস্কৃতিক সংগঠনের কথা। বলা হয়েছে এই সংগঠনটি তৈরি করেছিলেন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্যসভার সাংসদ স্বপন দাশগুপ্ত।
বাবুলের দাবি, স্বপন দাশগুপ্তর সঙ্গে মিলে এই খোলা হাওয়া নামে সংগঠনটি তৈরি করেছিলেন তিনিও। এমনকী সংগঠনের নাম, লোগো, লেটারহেড পুরোটাই নিজের হাতে করেছিলেন। তিনি আরও বলেন, এই সংগঠন নিয়ে নাকি আপত্তি ছিল দিলীপ ঘোষের। অবশ্য তিনি পোস্টের শেষে লিখেছেন, ‘কত অবদান রেখে গেছি বিজেপিতে।’
বাবুল এখন বিজেপিতে নেই। তবে খোলা হাওয়া আজও রয়ে গেছে। দিন কয়েক আগেই এই সংগঠন একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যেখানে প্রধান বক্তা ছিলেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী, অভিনেতা অনুপম খের-সহ আরও একাধিক ব্যক্তিত্ব। এখন প্রশ্ন হল, হঠাৎ করে কেন আলোচনায় উঠে এল এই ‘খোলা হাওয়া’? আগামী ২৫ বৈশাখ এই সংগঠন সায়েন্স সিটিতে রবীন্দ্র সন্ধ্যার আয়োজন করতে চলেছে। সেই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হয়ে আসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
‘খোলা হাওয়া’ সংগঠনটি আমি ও @swapan55 (স্বপন দাশগুপ্তদা) মিলে করেছিলাম•’খোলা হাওয়া’ নামকরণ, লোগো ও letterhead-ও আমিই বানিয়েছিলাম আমার নিজের আর্টিস্ট অভিজিৎ কে দিয়ে•অঞ্জনা মিত্র, শংকু পান্ডা সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছিল-দিলীপদা প্রাণ দিয়ে বাধা ছিলো😂কত অবদান রেখে গেছি বিজেপিতে😂 pic.twitter.com/nwX0oRoyPv
— Babul Supriyo (@SuPriyoBabul) April 23, 2023
অনেকের মতে, বাবুলের এই টুইটের মধ্যে কিছুটা অভিমানও জড়িয়ে আছে। যতই তিনি ব্যঙ্গাত্মকমূলক পোস্ট করুন না কেন, ‘খোলা হওয়া’ সংগঠন থেকে এভাবে নিজের নাম মুছে যাওয়া কষ্ট পেয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রীও।