BanglaHunt : বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে। এই যুক্তি দেখিয়ে পেট্রোল এবং ডিজেলে লিটার পিছু এক টাকা করে দাম বাড়ানোর ঘোষণা করলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। পেট্রোল এবং ডিজেলে লিটার পিছু এক টাকা করে সেস বসিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এর সঙ্গে আমদানি শুল্কও বাড়ানো হয়েছে। যার ফলে গোটা দেশেই পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম লিটার পিছু এক ধাক্কায় দু’ টাকা করে বেড়েছে।
এ দিন বাজেট পেশ করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব বাজারে জ্বালানি তেলের দাম অনেকটাই কমেছে। এর ফলে পেট্রোল এবং ডিজেলের উপর আমদাসনি শুল্ক এবং সেসের হার পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ রয়েছে।’ এর পরেই পেট্রোল এবং ডিজেলে বিশেষ অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক এবং লিটার পিছু এক টাকা করে সড়ক ও পরিকাঠামো সেস বসানোর কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
পেট্রোলের সঙ্গে ডিজেলের এই মূল্য বৃদ্ধির ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। কারণ, ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি অর্থ পরিবহণ খরচ বৃদ্ধি পাবে। রেল ভাড়াও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। পরিবহণ ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এখন প্রতিদিন পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম ওঠানামা করে। ফলে, যেদিন ডিজেলের দাম এমনিতেই বাড়বে, সেদিন লিটার পিছু দাম ২ টাকারও বেশি বেড়ে যাবে।
অতীতে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লে আমজনতার উপর চাপ কমাতে শুল্কের হার কমিয়ে দেওয়াটাই রীতি ছিল সরকারের। কিন্তু ২০১৪ সালে মোদী সরকার আসার পর থেকেই সেই রীতি বদলে গিয়েছে। এখন বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও রাজস্ব বাড়ানোটাই দস্তুর। যার ফলে জ্বালানি বিক্রির রাজস্ব থেকে সরকারি কোষাগারের আয় লক্ষ্যণীয় ভাবে বেড়ে চলেছে।
বিশ্ববাজারে যেহেতু তেলের দাম কমেছে, তাই পেট্রোল এবং ডিজেলের উপরে বিশেষ অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক এবং লিটার পিছু এক টাকা করে সেস বসানোর কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী।
সরকার যে কারণে দেখিয়েই বাজেটে তেলের দাম বাড়ানোর কথা বলুক সাধারণ মানুষ দ্বিতীয় মোদি সরকারের প্রথম বাজেটে খুশি নন সেটা স্পষ্ট।