বাংলাহান্ট ডেস্ক : বিধায়ক নির্মল মাঝির পর এবার বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস। দিন কয়েক আগে তৃণমূল নেতা তথা বিধায়ক নির্মল মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলনা করেছিলেন স্বয়ং মা সারদার সঙ্গে। তার একটি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছিল বঙ্গ রাজনীতিতে। বিরোধী শিবির তো বটেই, এমনকি তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে রামকৃষ্ণ মিশনের তরফেও। সেই বক্তব্যের রেশ কাটতে না কাটতেই ফের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এল বাগদার শাসক দলের বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসের নাম। একটি রক্তদান শিবিরে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাক্ষাৎ রাণী রাসমণির রূপ বলে উল্লেখ করেন তিনি। শুধু তাই নয়, তার কথায়, রানী রাসমনির মতোই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরাজ করছেন মানুষের মনে।
জানা গিয়েছে, সম্প্রতি একটি রক্তদান শিবিরে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস যোগদান করেছিলেন। সেখানে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি গোপা রায়, সহ-সভাপতি তরুণ ঘোষ সহ আরও অনেকেই হাজির হয়েছিলেন। যুব নেতাদের মধ্যেও অনেকেই ছিলেন সেখানে। তাদের উপস্থিতিতে বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে আমরা রাণী রাসমণির ছায়া পেয়েছি। আগামী একশো বছর পরেও মানুষের স্মৃতির মণিকোঠায় থাকবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেমন রয়েছেন রাণী রাসমণি।’’ শুধু তাই নয়, বিশ্বজিতের বক্তব্য, সমাজের পিছিয়ে পড়া গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে লড়াই করেছিলেন লোকমাতা রাণী রাসমণি। রাসমণির নানা কৃতিত্ব উল্লেখ করে তার আরোও সংযোজন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সিঙ্গুর-নন্দীগ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রাসমণির মতোই।’’ রাণী রাসমণির সঙ্গে তৃণমূল সুপ্রিমোর তুলনা টানতেই ফের শুরু হয়ে যায় বিতর্ক।
পরোক্ষভাবে বিশ্বজিৎ দাস কে সমর্থন করতে গিয়ে বনগাঁর জেলা তৃণমূল সভাপতি গোপাল শেঠ বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের কাছে সব মনীষীরদের উপরে। ওনার ছবি দ্বারা প্রতিনিয়ত মানুষ অনুপ্রাণিত হচ্ছে।
এই ঘটনার পর স্বাভাবিকভাবেই আসরে নেমে গেছে বিজেপি সহ বিরোধী দলগুলো। তীব্র কটাক্ষ ছুড়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। বিজেপি নেতা দেবদাস মন্ডল বলেছেন, ‘‘উনি বাগদা থেকে বিজেপির টিকিটে জিতে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন৷ এর পাশাপাশি, এসব শিক্ষার অভাব আর মিডিয়ায় আসার জন্য চটকদারি বলেও কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন তিনি। বনগাঁর সিপিএম নেতা পীযূষকান্তি সাহা বলেন, ‘‘উনি পাগলের প্রলাপ বকছেন। এ সব ভুলভাল কথা।’’
তৃণমূল যতই সাফাই দিতে চেষ্টা করুক না কেন একের পর এক নেতার এহেনও মন্তব্যে যে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ছে শাসক দল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।