বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের অনেকেই পাহাড়ে ঘুরতে যেতে পছন্দ করি। তবে, পশ্চিমবঙ্গে পাহাড় বলতেই অধিকাংশ মানুষ দার্জিলিংয়ের কথাই আগে ভাবেন। তবে এখনকার দিনে পাহাড় প্রেমীদের কাছে অফবিট জায়গাগুলি সব সময় হটলিস্টে থাকে। এছাড়াও সাধারণ পর্যটকরাও দিনে দিনে বিভিন্ন অফ বিট পাহাড়ি গ্রামগুলির প্রতি আকর্ষিত হচ্ছেন।
আপনারাও যদি এই পুজোর অফ বিট কোনো পাহাড়ি গ্রামে ঘুরতে যেতে চান তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনটি মন দিয়ে পড়ুন। আজ আমরা যে পাহাড়ি গ্রামের সন্ধান দেব সেই জায়গাটির প্রাকৃতিক রূপ ভুলবার নয়। বাগোরা (Bagora) অবস্থিত কর্শিয়াংয়ে। ৭২০০ ফুট উচ্চতার জন্য এখানে ঠান্ডা একটু বেশি থাকে। পুজোর সময় এই জায়গায় ঘুরতে গেলে অবশ্যই শীতের পোশাক নিয়ে যাবেন।
এই পাহাড়ি জায়গায় গা ঘেঁষে উড়ে বেড়ায় মেঘ। এখানে গেলে আপনার মেঘালয়ের কথা মনে পড়বে। মেঘের মধ্যে দিয়ে মাঝেমধ্যেই উঁকি মারে এক চিলতে রোদ্দুর। কর্শিয়াংয়ের এই জায়গাটি পর্যটকদের কাছে খুব একটা পরিচিত নয়। যারা অচেনা প্রকৃতি দেখতে পছন্দ করেন তাদের জন্য অবশ্যই এবারের ট্যুরে এই গ্রামটি হটলিস্টে থাকা উচিত।
বাগোরা থেকে ভোরবেলা দেখা যায় অপূর্ব কাঞ্চনজঙ্ঘা। তারপর মেঘ এসে ছড়িয়ে পড়ে গোটা আকাশে। বেলা বাড়লে মেঘের ফাঁক দিয়ে উঁকি মারে রোদ্দুর। সারাদিন ধরে চলতে থাকে মেঘ-রোদ্দুরের খেলা। খুব কম মানুষের বাস এই গ্রামে। তাই নিখাদ প্রকৃতির শোভা উপভোগ করা যায় এখানে। এই গ্রামে রয়েছে ছোট্ট একটা হোম স্টে।
খুব সাধারন পরিবেশে এখানে কয়েকদিন কাটাতেই পারেন। কার্শিয়াং জেলার সবথেকে উঁচু গ্রাম বাগোরা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় এই গ্রামে ব্রিটিশরা বিমান ঘাঁটি তুলেছিল। এখন বিমান ওঠানামা না করলেও, রয়ে গেছে চপার। এছাড়াও এই গ্রামে রয়েছে পাইন গাছের জঙ্গল। প্রকৃতিকে নিঃস্বার্থভাবে উপভোগ করার জন্য আপনাদের ডেস্টিনেশন হোক বাগোরা।