পলাতক বাহানাগারের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারকে নিয়ে মুখ খুলল রেল! প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাংলা হান্ট ডেস্ক : করমণ্ডল দুর্ঘটনার (Coromandel Express Accident) তদন্তে মঙ্গলবার বাহানাগা বাজার স্টেশনে গিয়ে রেলকর্মীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে সিবিআই (Central Bureau of Investigation)। কেন্দ্রীয় এজেন্সি যখন এই জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে তখনই রটে যায়, এক জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার জেরায় উপস্থিত নেই। তিনি ঘা ঢাকা দিয়েছেন। তারপর নাকি সিবিআই ওই জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের বাড়িও সিল করে দিয়েছে। এরপরেই কড়া বিবৃতি দিল রেল।

দক্ষিণ-পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক আদিত্য চৌধুরী সংবাদসংস্থা এএনআইকে বলেছেন, ‘বাহানাগা বাজারের কোনও রেলকর্মী নিখোঁজ হননি। প্রত্যেকে উপস্থিত হয়ে তদন্তে সহযোগিতা করছেন। কিছু কিছু সংবাদমাধ্যম ভুল খবর প্রচার করছে।’

করমণ্ডল দুর্ঘটনাকে এই শতাব্দীর এখনও পর্যন্ত ভয়াবহ দুর্ঘটনা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, দু’টি দু’মুখো এক্সপ্রেস ট্রেন এবং একটি মালগাড়ির সংঘর্ষ ভারতীয় রেলের ইতিহাসেও বিরল।

coromandel

গোড়া থেকেই সিগন্যালিং ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রথমে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণো জানিয়েছিলেন, মূল কারণ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। সেই বিকেলেই আবার অবস্থান বদলে রেলমন্ত্রী সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেন।

সিবিআই তদন্ত নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। প্রাক্তন রেলমন্ত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্টই বলেছিলেন, এতে সিবিআই কী করবে? এখানে কি ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে নাকি? তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, ঘটনার দু’দিন পর থেকেই বিজেপি তথা গেরুয়া শিবিরের লোকজন অন্তর্ঘাতের গন্ধ পেতে শুরু করেছিলেন।

অনেকের মতে, পরিকাঠামো, যাত্রীনিরাপত্তা সংক্রান্ত ব্যর্থতা ঢাকতেই এসব কথা চাউর করে দেওয়া হচ্ছে। এদিনের ‘জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার নিখোঁজ’-এর গুজবও সেই অভিপ্রায় থেকে হয়ে থাকতে পারে বলে মত অনেকের। তবে রেল জানিয়ে দিল, এই গোটাটাই আষাঢ়ে গল্প।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর