বাংলাহান্ট ডেস্ক : বহরমপুরে কলেজ ছাত্রী খুনের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল গোটা রাজ্যে। এহেন ভয়াবহ নৃশংসতায় শিউরে উঠেছেন মানুষ। কিন্তু গ্রেপ্তার হওয়ার পরও অস্বাভাবিক রকম ভাবেই নির্লিপ্ত অভিযুক্ত যুবক সুশান্ত চৌধুরী।
পুলিশ জেরার মুখে ভেঙে পড়া তো দূর অস্ত, রীতিমতো হাসতে হাসতেই একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানিয়েছে ওই যুবক। হাসি মুখেই পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে যে বহুদিন ধরেই সুতপাকে খুনের চক্রান্ত করছিল সে। সন্ধ্যেবেলা ওই এলাকায় লোকজনের ভীড় থাকে সে আগে থেকেই তা জানত। তাই লোকজনকে ভয় দেখাতে এবং বিষয়টিকে আরও নাটকীয় করতে একটি খেলনা বন্দুক অবধি জোগাড় করে সুশান্ত। এরপর শনিবার থেকেই ঘাঁটি গাড়ে বহরমপুরে৷
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের দাবি মৃত কলেজ ছাত্রীর সঙ্গে লুকিয়ে বিয়ে হয়েছিল তার। কিন্তু শেষের দিকে তা অস্বীকার করতে শুরু করে সুতপা। বারবার অপমান এবং মারধরও করা হত তাকে। এরপর মাস চারেক আগে অন্য এক যুবকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে ওই ছাত্রীর। ব্যাপারটি কোনও মতেই মেনে নিতে না পেরে খুন করে সে।
খুনের পরে পালানোর জন্যও পরিকল্পনা করে রেখেছিল সুশান্ত। বহরমপুর থেকে খুন করে পালানোর পথে দুবার লাক্সারি ট্যাক্সি বদল করে সে। সেই গাড়িতেই রক্তমাখা পোষাক বদল করে ভোল বদলে নেয়। এরপর সামসেরগঞ্জের কাছে গাড়ি আসার পর পুলিশের নাকা চেকিং দেখে ভয় পেয়ে যায় কম্পিউটার সায়েন্সের স্নাতকোত্তর প্রথম বর্ষের ছাত্র সুশান্ত। বাঁচতে একটি মিনিডোরের নীচে ঢুকে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়ে সে। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এহেন ঘটনায় কার্যতই এখনও থমথমে গোটা এলাকা।