বাংলাহান্ট ডেস্ক : মুর্শিদাবাদে কলেজ ছাত্রী খুনকে কেন্দ্র করে শোরগোল ছড়িয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবক সুশান্ত চৌধুরীকে৷ এবার মৃতা তরুণীর বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন অভিযুক্তের কাকিমা। তাঁর দাবি,মৃতা সুতপাই শেষ করে দিয়েছে সুশান্তর জীবন৷
এদিন ধৃত যুবক সুশান্তের কাকিমা দাবি করেন, সুশান্তকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়েছে সুতপা। একই সঙ্গে তাদের দুজনের দীর্ঘ দুবছরের প্রেমের কথাও স্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, ‘মেয়েটা যে আমাদের ছেলেটার জীবন নষ্ট করে দিল, তার বেলা?’
মালদার বলরামপুর এলাকার বাসিন্দা সুশান্ত কম্পিউটার সায়েন্স নিয়েই পড়াশোনা করছিল। তার বাবা পেশায় পুলিশকর্মী। পড়াশোনার সুবিধার জন্য পিসির বাড়ি মালদা টাউন এলাকাতেই থাকত সে। সেখানেই প্রতিবেশী সুতপার সঙ্গে প্রথমে আলাপ, তারপর সেই আলাপ গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। সুশান্তর পরিবারের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল তাদের সম্পর্ক। দুজনের বিয়ে হওয়ারও কথা ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সুশান্তর কাছ থেকে টাকা পয়সা এবং দামি দামি উপহার হাতিয়ে নেয় সুতপা। কিন্তু সম্প্রতি বেঁকে বসে সে। কিছুতেই আর সুশান্তকে বিয়ে করতে রাজি হচ্ছিল না বছর কুড়ির ওই কলেজ ছাত্রী। এমনকি সুশান্তকে পাড়ার যুবকদের দিয়ে মারও খাওয়ান সুতপার বাবা মা।
সুতপার এহেন অদ্ভুত ব্যবহার মেনে নিতে পারেনি সুশান্ত। পিসির বাড়ি থেকে বাড়ি ফিরে গেলেও মানসিক অবসাদে ভুগছিল সে। খাওয়া দাওয়া কথা বার্তা সব কিছুই বন্ধ করে দিয়েছিল। তার ফেসবুকেও এই খুনের পরিকল্পনার ইঙ্গিত মিলেছে। খুনের আগেই সে ফেসবুকে লেখে, ‘এই বেবাফা তোর উপর একদিন অনেক ভারি পড়বে। এমনকি তোর জান পর্যন্ত যেতে পারে ম্যাডাম জি’। এরপরই সোমবার প্রেমিকা সুতপাকে কুপিয়ে খুন করে সে। যদিও মেয়ের বিরুদ্ধে সুশান্তর পরিবারের তোলা সমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে সুতপার পরিবার।