বাংলা হান্ট ডেস্ক : হিন্দু দেবদেবীর নামে বিতর্কিত মন্তব্যের। আর এই অপরাধে পুলিসের সামনেই বেধড়ক মারধর এক প্রৌঢ়কে (Bairi Naresh)। সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সেই ভিডিও। আর সেই ভিডিও ঘিরেই এবার চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যে। শুধু তাই নয়, পুলিসি হেফাজতে থাকাকালীনও তাঁর উপর হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
কী হয়েছিল ঘটনা? গত ৩১ ডিসেম্বর তেলেঙ্গানার এক আইন কলেজের অনুষ্ঠানে যোগ দেন বইরি নরেশ (৪২) নামে এক ব্যক্তি। সেখানে হিন্দু ধর্মের দেবতা আয়াপ্পা স্বামীর বিরুদ্ধে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠে নরেশের বিরুদ্ধে। মারমুখী হয়ে ওঠে উপস্থিত জনতা। পরিস্থিতি খারাপ বুঝে নিজেকে বাঁচাতে পুলিসের সাহায্য চান নরেশ। ফোন করে ডাকেন পুলিস। ঘটনাস্থল থেকে নরেশকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিস বাহিনী। তখনই একদল উন্মত্ত জনতা তাঁকে আক্রমণ করে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, পুলিসের ভ্যান ঘিরে ফেলেছে বিক্ষুব্ধ জনতা। পুলিসের ভ্যানে থাকা নরেশকে লক্ষ্য করে চলে কিল-চড়-ঘুষি। পুলিস তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। কার্যত অসহায় অবস্থায় গোটা ঘটনার দর্শক হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা। পরে যদিও নরেশকেই উলটে গ্রেফতার করে পুলিস। আপাতত তাঁর ঠিকানা জেল। তবে জেলেও তার উপর হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কায় ভুগছেন নরেশের স্ত্রী। তাই তাঁকে আলাদা সেলে রাখার আবেদন জানান নরেশের স্ত্রী। কিন্তু তার আবেদন মঞ্জুর হয়নি বলেই পুলিস সুত্রে খবর।
কয়েক মাস আগেই দিল্লির বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের জমায়েতে হিন্দুদের দেব দেবীর নাম উল্লেখ করে তাদের অসম্মান করায় মন্ত্রিত্ব পদ থেকে ইস্তফা দিতে দিল্লি সরকারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী রাজেন্দ্র পাল গৌতম। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তাঁকে নিয়ে বিতর্কে আগাগোড়া মুখ বন্ধ রাখায় অপমানিত বোধ করাতেই এই সিদ্ধান্ত।
দিল্লিতে দশ হাজার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মানুষের জমায়েতে শামিল হয়েছিলেন গৌতম। তিনি নিজেও ওই ধর্মের মানুষ।সেই সমাবেশে অনুষ্ঠানে শপথ গ্রহণ করানো হয়, তাঁরা কখনও হিন্দু দেবদেবীর আরাধনা করবেন না। বলবেন না, জয় শ্রীরাম, জয় শ্রী কৃষ্ণ। মঞ্চে দাঁড়িয়ে মন্ত্রী গৌতমও এই শপথ নেন। অনুষ্ঠানের একটি ভিডিও ক্লিপ সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই আসরে নামে বিজেপি।এবং আপ সরকার কে বিজেপির রোষের মুখে পড়তে হয়।