বাংলাহান্ট ডেস্কঃ একদিকে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় নারদা কাণ্ড নিয়ে। অভিযুক্ত সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায় এখন আপাতত গৃহবন্দি। তাঁদের জামিনে মুক্ত করার জন্য যারপরনাই চেষ্টা চালানো হচ্ছে। সোমবার হাইকোর্টের বৃহত্তর বেঞ্চে মামলার শুনানি হলেও নিষ্পত্তি হয়নি। আর এর জেরে আগামী বুধবার পর্যন্ত অভিযুক্তদের হাউস অ্যারেস্টেই থাকতে হবে। আগামী শুনানি ওই দিনই হবে। আরেকদিকে, রাজ্য বৈশাখী-শোভনের প্রেম নিয়েও মজে আছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শোভন-বৈশাখীকে নিয়ে হাজার হাজার মিম ছড়িয়ে পড়েছে। অনেকেই আবার এই জুটিকে রোমিও-জুলিয়েট জুটির থেকেই উপরের স্থান দিয়েছেন। প্রেসিডেন্সি জেলের ফাটকে কান্না থেকে শুরু করে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে শোভনের সঙ্গে একসাথে থাকার বৈশাখীর আবেদন নেটিজেনদের নজর কেড়েছে। এছাড়াও এসএসকেএম থেকে শোভনকে ছুটি করিয়ে গোলপার্কের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার বৈশাখীর প্রচেষ্টাও নজর কেড়েছে নেটিজেনদের।
তবে বৈশাখী-শোভন-রত্নার মধ্যে একজন মানুষের খোঁজ সবাই চালিয়ে গিয়েছেন। তিনি আর কেউ নন, তিনি হলে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বামী মনোজিৎ মণ্ডল। এবার মনোজিৎবাবু বৈশাখী-রত্না প্রসঙ্গে মুখ খুললেন।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়কে মনোজিৎ বাবু বলেন, আমি ওনাকে সেভাবে চিনি না। ওনার সঙ্গে দু’একবার কথা হয়েছে। উনি এখন স্বাভাবিক পরস্থিতিতে নেই। বিচ্ছেদের মামলা চলছে, উনি মানসিক দিক থেকে ভেঙে পড়েছেন। উনি অসুস্থও হয়ে পড়েছেন, ওনার এখন চিকিৎসার দরকার।” এরপর স্ত্রী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরকীয়ার কথা মেনে নেন অভাগা স্বামী মনোজিৎ মণ্ডল। তিনি বলেন, ‘কেউ এভাবে ২২ বছরের সম্পর্ক ভেঙে দেয় কি করে?”
মনোজিৎবাবু বলেন, ‘ওদের সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার আসল কারণ আমরা সবাই জানি। তবে বৈশাখী কখনই ওদের ডিভোর্সের কারণ হতে পারে না। পরকীয়া এখন বৈধ হয়ে গেছে। এখন এটা নিয়ে কাওর কোনও অসুবিধে নেই। এখন যে কেউ করতে পারে পরকীয়া।” ওনার বক্তব্যে এটা স্পষ্ট যে, তিনি নিজের স্ত্রীর হয়েই ব্যাট ধরেছেন।