বাংলা হান্ট ডেস্ক: রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে গেলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, শোভন বৈশাখী দু’জনেই মাসখানেক আগে BJP-তে যোগ দিয়েছেন। পার্থবাবুর বাড়িতে আজ বৈশাখীর যাওয়া ঘিরে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জল্পনা।
উল্লেখ্য, সারোদা মামলায় শোভন চট্টোপাধ্যায়কে তলব করে সিবিআই। কলকাতা পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র সারোদা গ্রুপকে বিভিন্ন লাইসেন্স এর সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছিলেন এই বিষয়গুলি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা তলব করে শোভনকে। এই তলব পাওয়ার পরেই হাজিরা দেওয়ার জন্য বৈশাখী বন্দোপাধ্যায় কে নিয়ে সিজিও কম্প্লেক্স পৌঁছান শোভন।
সিবিআই সূত্রে জানা গেছে, শোভন চট্টোপাধ্যায় যখন কলকাতা পৌরসভার মেয়র ছিলেন তখন সারদা গ্রুপের কর্ণধার সুদীপ্ত সেন একাধিক ট্রেড লাইসেন্স পায়েছিলেন, সারদা মামলার এই বিষয়টি বর্তমানে নজর এনেছে সিবিআই। যে কারণে আজ সল্টলেকের সিজিও কম্প্লেক্স ডেকে পাঠানো হয়েছে শোভনকে। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার পর, সেখান থেকে বেরিয়ে এসে তিনি বলেন ‘চিটফান্ডের সঙ্গে তার কোনো রকম সম্পর্ক নেই। তদন্তের স্বার্থেই আজ হাজিরা দিতে এসেছেন তিনি।’
উল্লেখ্য, সারদা মামলার ভোল পাল্টেছে দিনের পর দিন, বেশ কয়েকজন নেতা মন্ত্রী, অভিনেতা-অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এই মামলায়। এমনকি সারদাকাণ্ডে তলব করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। জানা গিয়েছিল, তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’ ও অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত লেনদেন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই তাঁকে তলব করা হয়েছিল।
সারদা মামলায় সিবিআই তলব করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। শিক্ষামন্ত্রীকে হাজিরার জন্য ডাকা হয়। সিজিও কম্প্লেক্স হাজিরা দিতে যান পার্থ। পাঁচ জনের একটি কমিটি জিজ্ঞাসাবাদ করে তৃণমূল মহাসচিব কে। ভিডিও ক্যামেরায় প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে চলা এই জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব রেকর্ড করা হয়।
কিন্তু সিজিও কম্প্লেক্স থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়, প্রশ্নের উত্তরে কিছু বলতে চাননি তিনি। শিক্ষা মন্ত্রী বলেছিলেন “ব্যক্তিগতভাবে ডাকলে উত্তর দিতাম। এটা তো ব্যক্তিগতভাবে ডাকা নয়, তাই কিছু বলব না।” তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’ ও অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত লেনদেন নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্যই তাঁকে তলব করা হয়েছিল। এবার তৃণমূলের প্রাক্তন সদস্য শোভন চট্টোপাধ্যায় কে সারদাকাণ্ডে তলব করেছে সিবিআই, এবার দেখার বিষয় আগামী দিনের ঘটনার জল কোনদিকে গড়ায়।